শেষ আপডেট: 31st August 2020 06:30
জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেবে, আজ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালাবে মুম্বই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ থেকেই শুরু হচ্ছে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জয়েন্ট-এন্ট্রান্স মেইন)। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর সুবিধার জন্য লোকাল ট্রেন চালাবে মুম্বই। আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জয়েন্টের পরীক্ষা চলবে। অন্যদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা তথা নিট পরীক্ষার দিন ফেলা হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার দিনগুলিতেই লোকাল ট্রেন চালানো হবে। পশ্চিম ও মধ্য রেলওয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই বেশ কিছু লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরাই এই ট্রেনে চাপতে পারবেন। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানো হবে। পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে ট্রেনে চাপতে পারবেন। তাঁদের বাইরে আর কাউকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না। জানা গিয়েছে, সকাল থেকে রাত অবধি চলবে এইসব পরীক্ষা স্পেশাল ট্রেন। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য ১৫-২০ মিনিট অন্তর ট্রেন ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হবে ট্রেনে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে মাস্ক ও গ্লাভস পরেই ট্রেনে উঠতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই ট্রেনে বসানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। স্টেশনে বা ট্রেনে কেউ যাতে অযথা ভিড় না করে সেটা খেয়াল রাখা হবে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা নিট পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল-মে মাসেই হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব পরীক্ষাই হবে জুলাইতে। জয়েন্ট পরীক্ষার দিন ফেলা হয়েছিল ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এবং নিট পরীক্ষার দিন ঠিক হয়েছিল ২৬ জুলাই। কিন্তু, জুলাই মাসেও দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরীক্ষা ফের পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ঠিক হয় সেপ্টেম্বরে ১-৬ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন ছাত্র ও তাঁদের অভিভাবকরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণে এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে পরীক্ষার হলে পৌঁছবেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করতে হবে। ওড়িশায় ইতিমধ্যেই জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন আইটিআই, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে ছাত্রছাত্রীদের রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।