শেষ আপডেট: 31st August 2024 07:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবান্ন অভিযানের ঘটনায় ধৃত ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন লাহিড়ীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার দুপুরের মধ্যে অভিযুক্ত সায়নকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিচারপতি এও জানিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে বা বক্তব্য নথিভুক্ত করতে তাঁকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে ছিল ছাত্রনেতা (ছাত্র সমাজের) সায়ন লাহিড়ীর জামিন মামলার শুনানি। সায়নের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের কথা মনে করিয়ে আদালতে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ মিছিল হলে পুলিশ প্রভাব খাটাতে পারবে না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। অথচ কর্মসূচি নিয়ে সায়নরা যেদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলনে করেন, তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা ময়দান থানায় ১০৯ ধারায় খুনের চক্রান্ত করার মামলা এনেছে পুলিশ।
আদালতকে তিনি এও জানান, সায়নকে নবান্ন অভিযানেরস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি, তাঁকে একটি সংবাদ মাধ্যমে অফিসে সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাল্টা হিসেবে রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত নবান্ন অভিযানে পুলিশের আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে আদালতকে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কথা বলা হলেও মোটেও তা শান্তিপূর্ণ ছিল না। থাকলে এতজন পুলিশ কর্মী জখম হতেন না। বাবুঘাটের সামনের রাস্তায় আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাইক এবং গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
এজি এও জানান, নবান্ন অভিযানের আগে পুলিশি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল, তা না হলে হয়তো আরও বড় মাপের গোলমাল বাঁধাতো।
শুনানি পর্বে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আরজি করের ঘটনায় শুধু শহর, রাজ্যে নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রতিবাদ চলছে। সাধারণ একজন ছাত্র একটা একটা অভিযানের ডাক দিল আর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তাবে সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করল। এখানে সেই ছাত্রের অপরাধ কোথায়? পুলিশ কেন তাঁর সঙ্গে আগেই কথা বলল না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। বিচারপতি এও বলেন, মানতে হবে ওই ছাত্র এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁর এক ডাকে এত মানুষের জমায়েত হয়েছে।
এরপর 'গণতন্ত্রে অধিকারের জন্য সকলের লড়াই করার অধিকার রয়েছে, সেখানে কেউ তাঁকে আটকাতে পারে না', যুক্তিতে অবিলম্বে সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।