মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের (Fisherman) সুরক্ষায় এবার মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিতে বসানো হচ্ছে ইসরোর তৈরি ট্রান্সপন্ডার যন্ত্র।
ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 14 June 2025 16:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বছর মাছ ধরতে গিয়ে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢুকে গ্রেফতার হয়েছিলেন এরাজ্যের একাধিক মৎস্যজীবী। ওপার বাংলার জেলে বেশ কয়েকমাস আটকে থাকা ওই মৎস্যজীবীদের পরে ফিরিয়ে এনেছিল রাজ্য। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জলপথে মৎস্যজীবীদের (Fisherman) সুরক্ষায় বড় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার (West Bengal Government)।
মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের (Fisherman) সুরক্ষায় এবার মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিতে বসানো হচ্ছে ইসরোর তৈরি ট্রান্সপন্ডার যন্ত্র। শুরুতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আর ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) এলাকার ৩০০টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০টি ট্রলারে বসানো হচ্ছে এই স্যাটেলাইট যন্ত্র। সূত্রের খবর, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি ও ফ্রেজারগঞ্জের বন্দরে ট্রলারে ইসরোর (ISRO) এই যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে।
এই যন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে উপকৃত হবেন মৎস্যজীবীরা?
মৎস্য দফতরের দাবি, এই যন্ত্র স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে। ফলে আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত অতিক্রম করার ঝুঁকি থাকবে না। আগে থেকেই সতর্ক করবে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রটি। কারণ এই স্যাটেলাইট যন্ত্রটি মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে জলপথের সীমানা বুঝতে পারার পাশাপাশি আবহাওয়ার পূর্বাভাসও (Weather Forecast) পেয়ে যাবেন মৎস্যজীবীরা। যার অর্থ সমুদ্রে কোনও বিপদের আভাস পেলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন। সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন উপকূল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।
একই সঙ্গে মোবাইলে থাকা ‘নবমিত্র’ (Nabamitra) নামে এক অ্যাপের মাধ্যমে সমুদ্রের কোথায় কোথায় মাছ পাওয়ার ভাল জায়গা রয়েছে তাও জানতে পারবেন মৎস্যজীবীরা।
জানা যাচ্ছে, ইসরোর (The Indian Space Research Organisation) নয়া এই যন্ত্রের দাম পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ অর্থে প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি ট্রলারে বসানো হচ্ছে এই স্যাটেলাইট যন্ত্র। স্বভাবতই খুশির ঝলক মৎস্যজীবীদের চোখে, মুখে। তাঁদের কথায়, "সত্যিই গভীর সমুদ্রে অনেক সময় জলপথের সীমানা বোঝা যায় না। তাছাড়া অনেক ধরনের বিপদের ঝুঁকিও থাকে।" নয়া যন্ত্র এবং অ্যাপের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।