শেষ আপডেট: 4th December 2024 20:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকের সময় ভাঙচুর ও আক্রমণের ঘটনায় কামারহাটি থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এর কেস ডায়েরি জমা দিল রাজ্য।
ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাগর দত্তে ধুন্ধুমার বাঁধে। ঘটনার দিন ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। অভিযোগ এই বৈঠক চলাকালীন বেশকিছু ছাত্র এসে ঘরের বাইরে চড়াও হয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। বৈঠকে থাকা ছাত্ররা তড়িঘড়ি দরজা লক করে দিলে মারমুখী হয়ে ওঠে তারা। এলোপাথাড়ি লাথি মেরে দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এই ঘটনাতেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ঘটনার দিন অধ্যক্ষের ঘরের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে বৈঠকের সময় বাইরে থেকে ভিডিও করা হচ্ছিল। ওই সময় কিছু কারণবশত কাঁচ ভেঙে যায়। তবে এতে আহত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ঘটনা ডাক্তারদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ।
রাজ্যের জমা দেওয়া কেস ডায়েরি মুখবন্ধ খামে জমা রাখা হয়েছে। এছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর ভাঙচুর ও আক্রমণের ঘটনায় যে ১১ জন পড়ুয়াকে ওই মেডিক্যাল কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হয় তারাও আদালতে মামলা দায়ের করে। এই মামলাতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কলেজ কর্তৃপক্ষকে ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আদালতে জমা দিতে বলেন। তারপর আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান।
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যখন সর্বস্তরের মানুষ পথে নেমে আন্দোলন করছেন, তখন বাকি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের মতো সাগর দত্তের ডাক্তাররাও বিক্ষোভ দেখান। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, এই প্রতিবাদের সময়েই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কিছু জুনিয়র ডাক্তার তাদের হুমকি দেয়! গত ৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের মধ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের সময় শাসক ঘনিষ্ঠ ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারাই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছিল। পরে ঘরও ভাঙচুর করে।