ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 22 April 2025 01:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পর রাত ১২টা নাগাদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (ssc) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, সুপ্রিমকোর্টের (supreme court) নির্দেশ মেনেই চলবে এসএসসি।
তবে চাকরিহারাদের (SSC 2016 Eligible teachers) দাবি মেনে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে এসএসসির তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। যার ফলে আন্দোলন আরও তীব্রতর করার ডাক দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এদিন এসএসসির বিবৃতি সামনে আসার পরই আগামীকাল মঙ্গলবার এসএসসির সামনে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে চাকরিহার শিক্ষকদের ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে আগামীকাল এসএসসির সামনে ধর্না অবস্থানে হাজির হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসএসসির এই বিবৃতির সামনে আসার পর মধ্যরাতে একটি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "সুপ্রিমকোর্টের অর্ডারেও কোথাও লেখা নেই যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকারের তরফে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে। তাছাড়া যোগ্যরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাই আন্দোলনকারীদের বলব, অপেক্ষা করুন। আইনি পথেই সমস্যার সমাধান হবে।"
চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, "রাজ্য দুর্নীতি করেছে, তার দায় আমরা কেন নেব?" এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "প্যানেল তো আমরা বাতিল করিনি। করেছে সুপ্রিমকোর্ট। ফলে রিভিউ পিটিশন অব্দি সকলকে অপেক্ষা করতে বলব।"
শিক্ষামন্ত্রী এদিন আরও জানান, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অনুমতি না মেলায় ওই তালিকা আপাতত প্রকাশ করা হবে না। বরং দ্রুত রিভিউ পিটিশনের পথে যাবে রাজ্য।
অন্যদিকে চাকরিহারারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত এসএসসির সামনে তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন রাতে চাকরিহারা শিক্ষকদের মঞ্চে হাজির হন আরজি কর আন্দোলনের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরাও শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানান।
গত ৩ এপ্রিল এসএসসির ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।
গত ১১ এপ্রিল বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, আইনি পরামর্শ নিয়ে দেড় সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে পারে এসএসসি। সেই হিসেব মোতাবেক ২১ এপ্রিল সোমবার পৃথক তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের।
এসএসসির তরফে বলা হয়েছিল, আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ চাল-কাঁকর আলাদা করে দেওয়া হবে। তবে কার্যক্ষেত্রে তা না হওয়ায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সদস্যরা।
ঘড়ির কাঁটায় এখন রাত একটা। এসএসসি ভবনের সামনে শুধুই কালো মাথার ভিড়। চাকরিহারাদের সাফ কথা, "রাজ্যের দুর্নীতির দায় আমরা কেন নেব?" এর শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।