নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি গেছে।
নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 21 May 2025 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিকাশ ভবনের সামনে ঘটা গত ১৫ মে'র অশান্তির ঘটনায় পুলিশি তলবে সাড়া দিয়ে বুধবার সন্ধেয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে (Bidhannagar police station) গেলেন আন্দোলনকারী চাকরিহারা তিনজন শিক্ষক (SSC deprived teacher)। এর আগে এদিন সকালে পুলিশের তলবে সাড়া দিয়ে দেখা করেন দু'জন শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে চাকরিহারা শিক্ষকদের। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও মৌখিক নির্দেশে জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
এরপরই এদিন সন্ধেয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে দেখা করতে যান আন্দোলনকারী তিন চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল, আলকাউজাম্মান, তপন পাল। এর আগে পুলিশের নোটিসে সাড়া দিয়ে দেখা করেন আরও দুই শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও স্বপন বিশ্বাস।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি গেছে। এই চাকরিহারাদের একাংশই বর্তমানে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করছেন।
গত ১৫ মে আন্দোলনের নামে তাঁরা বিকাশ ভবনের ভেতরে কর্মীদের আটকে রাখে এবং আটকে থাকা মানুষজনকে পুলিশ উদ্ধারে গেলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপরও আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে সুয়োমোটো মামলাও দায়ের করা হয়। তদন্তের জন্য আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপরই পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য চাকরিহারাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত এও জানিয়েছে, বিকাশ ভবনের পরিবর্তে চাকরিহারা শিক্ষকরা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করতে পারেন এবং সেখানে সর্বোচ্চ ১০০ জন করে আন্দোলনকারী থাকতে পারবেন। আদালতের এহেন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আন্দোলনকারী যোগ্য শিক্ষকদের মঞ্চের অন্যতম সদস্য চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "আমরা কী কারণে এসএসসি ভবনের সামনে বসে রয়েছি, সে বিষয়ে আদালতে সঠিকভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করা হয়নি। আশা রাখি, আগামীদিনে আমরা আদালতকে আমাদের বক্তব্য বোঝাতে পারব।"