শেষ আপডেট: 9th April 2025 16:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা থেকে দুর্গাপুর, রাজ্যের নানা প্রান্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, চাকরিহারা বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের উপর পুলিশি লাঠিচার্জের। এই নিয়ে দিনভর নিন্দার ঝড় ঘনিয়েছে নানা মহলে। এর পরেই আজ, বুধবার, দুপুর ১:২০ নাগাদ রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম নির্দেশ পাঠালেন রাজ্যের সমস্ত এসপিকে।
জানা গেছে, তিনি এসপি-দের বিশেষ করে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের যে সমস্ত ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকরা গিয়ে আন্দোলন করছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে শান্তির পথে এবং আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে হবে।
আজ সকালে সবার আগে খবর আসে, কসবা ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারা, বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়েছে। এর পরে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক শিক্ষক। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সব মহলে। মনে করা হচ্ছে, এরপরে নবান্ন চাইছে না, কোনওভাবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের ক্ষোভ আরও বাড়ুক।
কসবার পরে দুর্গাপুর, বারাসতেও চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক জখম হয়েছেন বলেও খবর। অভিযোগ আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাল্টা ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন পুলিশের কিছু কর্মীও।
এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বুধবার বেলা বাড়তে তীব্র উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয় জেলায় জেলায়। বারাসত, বর্ধমানে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয়। চাকরিহারাদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পাল্টা হিসেবে পুলিশের অভিযোগ, চাকরিহারা শিক্ষকরাই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পরে সোমবার নেতাজি ইনডোরে চাকরিহারাদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ সেই আশ্বাসে ভরসা করতে পারেননি। ফলে বাড়তে থাকে বিক্ষোভ।
এর পরেই বুধবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামেন তাঁরা। ঘেরাও করে ডিআই অফিস। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছেন চাকরিহারারা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, শাসকদলের একাংশ নেতা চাকরি বিক্রি করল। সে কারণেই সরকার যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করল না, যার খেসারত দিতে হল তাঁদের। পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘পুলিশ দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ এর প্রতিবাদে আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।