দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হওয়ায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গেছে। এঁদের মধ্যে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন প্রায় হাজার আটেক শিক্ষক। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এসএসসি ভবনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 13 May 2025 13:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগ্য শিক্ষকদের সম্মানের সঙ্গে স্কুলে ফেরানো এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির (SSC Scam) দাবিতে ফের আন্দোলনে নামল এআইডিএসও (AIDSO )। মঙ্গলবার সংগঠনের তরফে দুটি মিছিল বিকাশ ভবনের সামনে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখায়।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, অযোগ্যদের বাঁচাতে গিয়ে যোগ্যদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ঠেলে দিচ্ছে রাজ্য। অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অযোগ্যদের তালিকাও সামনে আনতে হবে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী না থাকায় দফতরের আধিকারিকদের কাছে নিজেদের দাবিপত্র তুলে দেন তাঁরা। 'দুধ কা দুধ, পানি কা পানি', না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে বলেও জানানো হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হওয়ায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গেছে। এঁদের মধ্যে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন প্রায় হাজার আটেক শিক্ষক। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই জায়গা থেকেই পর্ষদ আদালতে আর্জি করে যে, 'চিহ্নিত অযোগ্য' ছাড়া বাকিদের চাকরি যাতে বহাল রাখা যায়। তাঁদের যুক্তি, এমনটা না হলে অনেক স্কুলে পড়ানোর মতো শিক্ষক থাকবেন না। এই আর্জির প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিতরা বাদ দিয়ে বাকিরা চাকরি করবেন পরবর্তী নিয়োগের আগে পর্যন্ত। সেই তারিখটা ৩১ ডিসেম্বর বলেই জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরিহারারা কার্যত পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন। 'যোগ্য'রা বলেন, তাঁরা আদতে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন কিছু না করেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাকরিহারাদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে যা করার তা করা হবে। চাকরি ফেরানোর দাবিতে সম্প্রতি চাকরিহারাদের একাংশ দিল্লিতে গিয়ে ধর্নাও করেছেন।