শেষ আপডেট: 27th April 2024 21:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। আদালতের রায়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজ শনিবার সেই মামলার শুনানির দিন জানাল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি হবে আগামী সোমবার ২৯ এপ্রিল। ওই দিন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে। বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাশাপাশি এই বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
সোমবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত পুরো বেতন বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ-সমেত ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে তাতে যে তাঁরা একেবারেই খুশি নন তা জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেছেন, পুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে গেছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে কোনও ভেদ করাই হয়নি। অযোগ্য ৪-৫ হাজার জনের নাম ছিল তালিকায়, সেখানে ২৬ হাজারের চাকরি চলে গেল। মূলত এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন তিনি।
এই মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। শনিবার শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আগামী ২৯ তারিখ পুর ১২টা নাগাদ শুনানি শুরু হবে এই মামলার। এখন এই শুনানিই শেষ ভরসা সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের। মনে করা হচ্ছে, ওই দিনই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।