মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 22 April 2024 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি দুর্নীতি মামলার রায় দিতে গিয়ে ২০২৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে গেছে। তাতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি যেতে বসেছে। শুধু চাকরি যাওয়াই নয়, যাঁরা এত বছর চাকরি করছিলেন তাঁদের প্রাপ্ত বেতন ১২ শতাংশ সুদের হারে কড়ায়গণ্ডায় ফেরত দিতে বলেছে হাইকোর্ট। এই রায় ঘোষণার পরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সরকার কোনওভাবেই এত জনের চাকরি যেতে দেবে না। সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, বিগত আট বছর ধরে যাঁরা চাকরি করলেন তাঁরা বেতন ফেরত দেবেন কীভাবে?
আদালত রায় দিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সমস্ত নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যাদের চাকরি হয়েছে, তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা শাসকদের টাকা উদ্ধার করতে হবে। তাছাড়াও বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই। এই দুর্নীতির জট ছাড়াতে তদন্তের প্রয়োজনে যাকে যাকে প্রয়োজন হবে, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। অতিরিক্ত শূন্য পদ যারা তৈরি করেছিল, তাদেরও হেফাজতে নেওয়া যাবে।
এসএসসি মামলার যখন রায় ঘোষণা হয় তখন ভোটের প্রচারে উত্তর দিনাজপুরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার বিপদে পড়বে। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। আট বছর তাঁরা চাকরি করেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে সব টাকা ফেরত দেবে কীভাবে? এটা কি সম্ভব?”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে?” এ দিন, ভরা সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। যাঁদের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি বাতিল করা হল তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।”