মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গেট আটকে বিক্ষোভে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি'ক কর্মীরা।- নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 21 April 2025 22:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আচার্য সদনে এসএসসি অফিসের পাশাপাশি চাকরিহারাদের বিক্ষোভ অবস্থান চলছে নিবেদিতা ভবনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসেও। সেখানে পর্ষদ অফিসের ভেতরেই অনশনে বসেছেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি'র আটজন কর্মী (SSC 2016)। বাকিরা বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের মতো গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি'র কর্মীরাও যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে কথা বলতে এদিন তাঁরা পর্ষদ অফিসে গেলেও সেখানে কোনও সদুত্তর পাননি। তাই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পর্ষদ অফিসের প্রধান ফটক আটকে ২৩ লক্ষ ওএমআর প্রকাশের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে এসএসসি ভবনে চাকরিহারাদের আন্দোলনের জেরে আটকে এসএসসির চেয়ারম্যান-সহ কর্মীরা। চাকরিহারাদের সাফ কথা, "ললিপপে আর ভুলছি না, তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।"
এসএসসির ২০১৬ সালের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সমগ্র প্যানেল বাতিল করা হল। কারণ হিসেবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা বাছাই করতে পারেনি। এরপরই যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন চাকরিহারারা।
গত ১১ এপ্রিল বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, আইনি পরামর্শ নিয়ে দেড় সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে পারে এসএসসি। সেই হিসেব মোতাবেক ২১ এপ্রিল সোমবার পৃথক তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। এদিন বিকেলে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল। রাত আটটা নাগাদ তাঁরা বাইরে এসে জানান, থার্ড কাউন্সেলিং পর্যন্ত যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বৈধ বলে ধরা হচ্ছে। এরপরই আন্দোলন তীব্রতর করার ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
একই ভাবে পর্ষদ অফিসেও বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় রাতভর সেখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি'র কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে আটজন কর্মী পর্ষদ অফিসের মধ্যেই অনশনে বসেছেন। তালিকা প্রকাশ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্রতর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।