নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।
ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 23 May 2025 10:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকা আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষকদের (deprived teacher) বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকী শিক্ষা দফতরের শোকজও কার্যকর হবে না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
তবে ওই মামলাতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন আন্দোলনকারীদের 'হুলিগান' বলে সম্বোধন করেছেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Kalyan Banerjee)। যা নিয়ে কল্যাণের দিকেই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, "সরকারের ভুলে চাকরি গেল, আমাদেরই হুলিগান বলছেন?"
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। গত ১৪ তারিখ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির কর্মীদের জন্য ভাতার কথা ঘোষণা করে রাজ্য। এরপরই গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন তীব্রতর করেন চাকরিহারারা। বিকাশ ভবনের মধ্যে সরকারি কর্মীদের রাত পর্যন্ত আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা হিসেবে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করে আন্দোলন হঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হন।
এরপরই আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করে পুলিশ। শিক্ষা দফতরের তরফেও একাংশ শিক্ষককে শোকজ করা হয়। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ওই মামলায় এদিন আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
এদিন ওই মামলার শুনানিতেই আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করে আইনজীবী, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হুলিগানদের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, ভিজিল্যান্স কমিশন ও এসবিআই-এর শাখা।’
এরপরই কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের দুর্নীতির ফলে আমাদের চাকরি খোয়াতে হল, এরপরও একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কীভাবে উনি শিক্ষক সমাজকে হুলিগান বলতে পারেন?" যদিও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে কল্যাণ বলেন, "যা বলেছি ঠিক বলেছি।"