শেষ আপডেট: 3rd May 2024 17:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন। ২০১৬ সালের এসএসসির সমস্ত নিয়োগই অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের রায়ে অযোগ্যদের সঙ্গে বহু যোগ্য প্রার্থীরাও চাকরি হারিয়েছেন। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। এবার চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব বলে জানিয়ে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায়ের পরই প্রতিবাদে নামেন যোগ্য চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে যোগ্য ও অযোগ্যদের তফাত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে এসএসসি দফতরকে। এই নিয়ে শুক্রবারও এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সূত্রের খবর, তাঁদের এক প্রতিনিধি দল এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে এদিন দেখা করেন। এরপরই এসএসসির তরফে জানানো হয়, চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বিভাজন করা সম্ভব।
ইতিমধ্যে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। এদিন এসএসসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, "আমরা যেমন অযোগ্যদের একটি তালিকা আদালতে দিয়েছিলাম, তেমনই বিতর্কিতদের তালিকাও সুপ্রিম কোর্টের কাছে তুলে ধরব। যোগ্য এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব।" একইসঙ্গে যারা কোনওভাবেই অযোগ্য নয়, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন কমিশন। আর কমিশনের এই বক্তব্যের পরই যোগ্য-অযোগ্যদের মধ্যে বিভাজনের ক্ষেত্রে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা খানিকটা কমল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে এদিনই ২০১৬ প্যানেলের যোগ্যদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমানের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বিজেপি। যাঁরা সৎ, সঠিক ডিগ্রি আছে তাঁদের পাশে রয়েছে বিজেপি।
গত মাসে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলকে বাতিল ঘোষণা করেছে। চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। ওই প্যানেলের ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন বিপাকে পড়েছেন যোগ্যরা। চাকরিহারা এবং রাজ্য সরকার, এসএসসি এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামী ৬ মে মামলটির শুনানি রয়েছে।