শেষ আপডেট: 7th April 2025 16:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদালতের রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। এদের মধ্যে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি যে সহজে সরকার ছেড়ে দেবেন না তা এদিন নেতাজি ইনডোরে সভায় স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আইনের পথ খোলা আছে, আমরা সেখান থেকেই আপনাদের ব্যবস্থা করে দেব, যাতে কারও চাকরি না যায়। আমরা লড়ব, জাস্ট লাইক এ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিশ্চিন্তে থাকুন, সকল ভরসা রাখুন। আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কী কী এভিডেন্স আছে, কী কারণে অযোগ্য বলেছে, কোন এজেন্সি কী বলেছে, কী কী কাগজপত্র রয়েছে টোটালটা সেকেন্ড ফেজে দেখব, তাদের নিয়ে আলাদা করে মিটিং করে ব্যবস্থা করা হবে।”
এদিনের সভার শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভুল করারও অধিকার থাকে। কাজ করতে গেলে এক-আধটা ভুল হয়। সেই ভুল শুধরোনোর সুযোগ দিতে হয়। তবে তিনি এও বলেন, “যদি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে কেউ অযোগ্য তাহলে হয়তো বিভাগীয়ভাবে কিছু করার থাকবে না। কিন্তু সেটা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এ কথা শুনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের প্রধান প্রশাসক ভাঁওতা দিচ্ছেন। অযোগ্য প্রার্থীদের ব্যাপারটা সেকেন্ড ফেজে দেখা হবে বলাটাই ভাঁওতাবাজি। কোনও সরকার আইনি পথে, নিয়ম মেনে অযোগ্যদের চাকরি দিতে পারে না। তাহলে লক্ষ লক্ষ যোগ্য ছেলেমেয়েকে বঞ্চিত করা হয়। সুতরাং আমরাও দেখব উনি কী করেন!”
চাকরিহারাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য এদিনই অভিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই গ্রুপে যোগ্য প্রার্থীদের তরফেও প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডিপ্রাইভ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বলব আমরা যে ল ইয়ার দিচ্ছি তাদের সহযোগিতা আপনারাও নিতে পারেন। এ ব্যাপারে ওদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং শিক্ষা সচিবকে বলব। যাতে সময়ে সময়ে সঠিক মেসেজ ওদের কাছে পৌঁছয়।”
এসএসসি-র গোটা প্যানেল তথা প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সরকার এখনও কাউকে বরখাস্ত করার নোটিস পাঠায়নি। সুতরাং কাজ চালিয়ে যেতে অসুবিধা নেই। তাঁর কথায়, "কোর্ট বলতে পারে আমি চাকরি বাতিল করলাম, তুমি কেন ওদের কাজে যেতে বলছো! কিন্তু যে কেউ স্বেচ্ছায় কাজ করতে পারেন। কথা দিচ্ছি কাউকে বঞ্চিত হতে হবে না। সেটা আমরা দেখব।"
তিনি এও বলেন, "দু'মাস সাফার করলে বিশ বছর সাফার করতে হবে না, আর এই দু’মাসও পুষিয়ে দেব। আমি কথা দিলে সেই কাজটা শেষ পর্যন্ত করে দেখাই।”