শেষ আপডেট: 9th January 2025 18:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগে গঙ্গাসাগরকে বলা হত, সব তীর্থ বারবার আর গঙ্গাসাগর একবার। এখন গঙ্গাসাগরে এতটাই উন্নয়ন হয়েছে যে লোকে বলে- সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার।
বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে অত্যাধুনিক ই-ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই গঙ্গাসাগরের এখনকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ফের কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথায়, "কুম্ভমেলায় কেন্দ্রীয় সরকার হাজার-হাজার কোটি টাকা দেয়। অথচ গঙ্গাসাগর মেলায় এক পয়সা দেয় না। ২০১১ সালের আগে এখানে কিচ্ছু ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গা রয়েছে"।
গত বছর প্রায় ১ কোটি মানুষ এসেছিল এই মেলায়। তা সত্ত্বেও গঙ্গাসাগর মেলাকে আজও কেন্দ্রকে জাতীয় স্বীকৃতি না দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কুম্ভমেলার চেয়েও কষ্টসাধ্য গঙ্গাসাগর। কুম্ভমেলায় বাস, ট্রেনে যেতে পারেন। কিন্তু গঙ্গাসাগরে যেতে হলে আপনাকে কাকদ্বীপের পর থেকে ভেসেল বা লঞ্চে করে যেতে হবে। কচুবেরিয়া থেকে ফের বাস পথে আরও ৪৫ মিনিট যেতে হবে। তবেই কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছানো যায়। অর্থাৎ খুবই কষ্টকর যাত্রা।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য নিজস্ব উদ্যোগে গঙ্গার ওপর দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা গঙ্গাসাগরে ব্রিজ করছি। টেন্ডারও হয়ে গেছে। ২-৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। চার লেনের সেতু হবে। আগামী দিনে মানুষকে আর জল পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে যেতে হবে না।