শেষ আপডেট: 5th July 2024 14:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে টানাপোড়েনের অবসান। ১ মাস ১ দিন পর বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করলেন বরাহনগর এবং ভগবানগোলার জয়ী দুই প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার।
কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তবে তা করা হলে স্পিকারকে অসম্মান করা হবে বলে জানান সায়ন্তিকা, রায়াতরা। একই মত ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই দুই নব নির্বাচিত প্রার্থীকে বিধায়ক হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিশেষ অধিবেশনের মাঝে এভাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায়, তা বয়কট করে বেরিয়ে যান বিজেপির বিধায়করা।
সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভায় স্পিকার অনুপস্থিত থাকলে ডেপুটি স্পিকার সেই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু স্পিকার উপস্থিত থাকাকালীন তাঁর পরিবর্তে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণ পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে বৃহস্পতিবারই ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও জানিয়ে দেন, রাজ্যপালের চিঠি এলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করবেন।
ফলে জয়ী দুই প্রার্থীর শপথগ্রহণ নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জট কাটাতে এদিন বিধানসভায় বসেছিল কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরুপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, দেবাশিস কুমার, মলয় ঘটক, সুজিত বসুরা।
সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্যপালের নির্দেশ মানা নিয়ে প্রথমে আপত্তি জানান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে আশিস এও বলেন, এভাবে স্পিকারকে অসম্মান করা যায় না।
এদিকে জয়ী হওয়ার এক মাস পরও শপথ নিতে না পেরে বিধায়ক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারছেন না সায়ন্তিকা, রায়াতরা। পরিস্থিতির জন্য রাজভবনকে দায়ী করে গত ২৬ জুন থেকে বিধানসভা চত্বরে ধর্নাতেও বসেন তাঁরা। অবশেষে রাজ্যপাল অনুমতিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শপথ অনুষ্ঠান আরও পিছিয়ে যাক, এটা চাইছিলেন না স্বয়ং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সূত্রের খবর, সেখানে সকলে আশিসবাবুকে বোঝান। তারপরই শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি হন ডেপুটি স্পিকার। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন স্বয়ং জয়ী দুই প্রার্থীও। সায়ন্তিকা বলেন, "এভাবে স্পিকার সাহেবকে অসম্মান করা যায় না।" রায়াতও বলেন, "রাজ্যপালের চিঠি দুর্ভাগ্যজনক। এতে মনে হয় স্পিকারকে অসম্মান করা হয়েছে।"
বিমানবাবুর উদ্দেশে ডেপুটি স্পিকারও বলেন, "আপনি এই সভা পরিচালনা করছেন। আপনি যেখানে উপস্থিত সেখানে আমি এই ধৃষ্টতা দেখাতে পারবো না। তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনিই শপথ বাক্য পাঠ করান।" এরপরই সকলের সম্মতিতে সায়ন্তিকা, রায়াতদের শপথবাক্য পাঠ করান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।