শেষ আপডেট: 26th September 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য আগেই ডিভিসিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ মমতা এও বলেন, আগামীদিনে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন কিনা ভেবে দেখবেন। এবার বন্যা ইস্যুতে ডিভিসির দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শোভনদেব বলেন, "ডিভিসির কর্মীরা নাকি রাজ্যের বন্যাত্রাণে তাঁদের ১দিনের বেতনের টাকা দেবেন বলেছেন। সেটা কর্মীরা চাইলে দিতে পারেন। একবেলা না খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু জমির দলিল, আধার কার্ড-সহ সব নথি জলের তলায় চলে গেলে, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এসব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষমতা আছে ডিভিসির?"
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই। রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী বলেন, "জুতো মেরে গরু দান নাকি? ডিভিসির জন্য তো বন্যা হল। তাই ডিভিসির কাছ থেকে একটা টাকাও আমরা দান হিসেবে নেব না। তাছাড়া কেন্দ্রর কাছ থেকে তো বন্যা ত্রাণে আমাদের অনেক টাকা প্রাপ্য। সদিচ্ছা থাকলে কেন্দ্র দ্রুত সেই টাকা দিক।"
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিভিসি যদি একটু আগে থেকে অল্প অল্প করে ছাড়তো তাহলে মানুষ দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে সরে যেতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগটুকুও দিল না।
এদিন ওই প্রসঙ্গ টেনে শোভনদেব বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী তো ঠিক কথায় বলেছেন। আমপানে একটা লোকও মারা যায়নি। তার কারণ, আমরা আগে থেকে সমস্ত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। ডিভিসি তো সেই সুযোগটাও দিল না। শুধুমাত্র ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচবারে অবৈজ্ঞানিকভাবে জল ছেড়েছে এক লক্ষ তিরিশ হাজার কিউসেক। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাইলের পর মাইল জলের তলায় চলে গেছে। ২৮ জনের প্রাণ গেছে।"
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির প্রতিবাদে এদিনে উল্টোডাঙায় ডিভিসির অফিসে হাজির হয়েছিলেন শোভনদেব। সেখা্নেই একথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ডিভিসির যখন কোনও প্ল্যানের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। অথচ তাঁদের জন্য আজকে বাংলার একাধিক জেলার মানুষ নিরাশ্রয় হয়ে গেল। এতে আমরা অত্যন্ত দুঃখিত, আশাহত। কারণ ডিভিসি তৈরি হয়েছিল মানুষের ভালর জন্য। অথচ কী হচ্ছে এখন?"
প্রশ্ন তুলেছেন ডিভিসির পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়েও। মন্ত্রীর কথায়, "দীর্ঘদিন ড্রেজিং হয় না, ডিভিসির জলের ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাই সামান্য বৃষ্টি হলে সেই জল ধরে রাখতে পারছে না। কেন্দ্রের উচিত আগে সেদিকে নজর দেওয়া।"