শেষ আপডেট: 8th April 2023 11:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), এক সময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজ্ঞাতে প্রথমে কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি (Parking fee) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা, এবং তারপর ঢোঁক গিলে ফের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা নিয়ে উত্তরসূরিকে বিঁধতে ছাড়লেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) উদ্দেশে নাম না করেই প্রাক্তন মেয়রের খোঁচা, 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।'
গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতা পুরসভা গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নয়া ফি বলবৎ করেছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল।
তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রাতে বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন নেতার দাবি, অবশ্যই এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। তিনি হলে অন্তত তাই করতেন। নাম না করেই ববি হাকিমকে উদ্দেশ করে শোভনের খোঁচা, 'কনফিডেন্স ভাল, তবে ওভার কনফিডেন্স নয়।'
কলকাতায় পার্কিং ফি পুরনো হারেই, মমতার নির্দেশের পর ঢোঁক গিলল ববির কর্পোরেশন
টানা সাড়ে ৮ বছরেরও বেশি সময় কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস আরও পুরনো, ৩৫-৩৬ বছরের। তারপরেও তাঁর দাবি, 'কলকাতা পুরসভায় শোভন চ্যাটার্জী কোনও ফ্যাক্টর নয়, ফ্যাক্টর হচ্ছেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয় বলে মত তাঁর।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের উপর করের বাড়তি বোঝা চাপাতে চান না। কুণাল এও বলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলেছেন। কিন্তু সে কথা তাঁকে সরাসরি না বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলা নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল ফিরহাদের মুখে। তারপরেই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।
তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবেই পরিচিত ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু পার্কিং ফি নিয়ে এই বিতর্কের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের সম্পর্কে চিড় ধরছে?
ববিরই ভুল, মমতাকে এতদিনেও চিনতে পারলেন না? দীনেশের কথা ভুলে গেলেন!