শেষ আপডেট: 6th September 2023 08:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে। তার পর মাস খানেক যেতে না যেতেই সেপ্টেম্বরের ১৮ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই অধিবেশনে অ্যাজেন্ডা কী তা স্পষ্ট নয়। কখনও হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এক দেশ এক ভোট নিয়ে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব আনা হবে। কখনও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, দেশের ইন্ডিয়া নাম পরিত্যাগ করে শুধু ভারতই রাখা হবে (Sonia Gandhi wrote letter to Modi)।
প্রধানমন্ত্রীকে সনিয়া চিঠি দেওয়ার আগে মঙ্গলবার রাতে বিরোধী জোটের নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের মতে, সরকার মূল্যবদ্ধি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক অব্যবস্থার মতো বিষয় থেকে মুখ ঘোরাতে নানা রকম খেলা করছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Parliament session) ডাকার উদ্দেশ্যও তাই। কেন্দ্রে মোদী সরকারের ৯ বছর হয়ে গেছে। এবার তাদের উত্তর দেওয়ার পালা। সেই পরিস্থিতি থেকেই পালাতে চাইছে সরকার।
বুধবার সকালে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “সংসদের বিশেষ অধিবেশন কেন ডাকা হয়েছে কেউ জানে না। আমরা তো মোদী চালিশা শুনতে যাব না। দেশের মানুষের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।”
সনিয়া গান্ধী যে বিষয়গুলির কথা জানিয়েছেন, তার পাশাপাশি সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও আলোচনা চান বিরোধীরা। সম্প্রতি দুই ব্রিটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে যে ভারত থেকে টাকা বেআইনি ভাবে বিদেশে পাচার করে সেই টাকা ঘুরিয়ে আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্টক মার্কেটকে প্রভাবিত করে আদানির শেয়ার দর বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করে সংসদে সরব হতে চায় কংগ্রেস ও বিরোধীরা।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিরোধীরা সরকারের খেলা ধরতে পেরে গেছেন। তাঁরা মনে করছেন, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মোদীর ঢাক পেটানো ছাড়া কিছু হবে না। তা ছাড়া সরকার প্রকৃত বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এই সব কাজকর্ম করছে। তাই সংসদের মধ্যেই চেপে ধরা হোক সরকারকে। বিজেপির অস্ত্র ব্যুমেরাং করে তাঁদের দিকেই ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সনিয়ার চিঠিতেই বিরোধীদের সেই কৌশল স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট: বুধবার কোবিন্দ কমিটির প্রথম বৈঠক, সরকার কি দ্রুত পদক্ষেপ করবে