শেষ আপডেট: 24th August 2023 06:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান (Chandrayan-3) বিক্রমের চাঁদে অবতরণের জন্য ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা দলের সংসদীয় পার্টির চেয়ারপারসন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi wrote letter to ISRO chief)। বৃহস্পতিবার সকালে সোমনাথকে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছেন, এই সাফল্য সকল ভারতীয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
কংগ্রেস নেত্রী ইসরোর চেয়ারম্যানকে লিখেছেন, ‘সেই ষাটের দশক থেকে ইসরো স্বনির্ভরতার অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যা এই দুর্দান্ত সাফল্য অর্জনে অবদান রেখেছে।’
বুধবার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের পরই কংগ্রেস-সহ সব দলই ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। গোটা বিশ্ব ভারতের এই সাফল্যে অভিভূত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় ইসরোরও প্রশংসা করেছেন।
প্রশ্ন হল, সনিয়া আলাদা করে কেন ইসরোর চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন। তাছাড়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরিবর্তে চিঠি কেন সনিয়া লিখলেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, ইসরোর সাফল্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব বলে বিজেপি যেভাবে প্রচার শুরু করেছে, তার থেকে মোড় ঘোরাতেই সনিয়া এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ষাটের দশক থেকে ইসরোর স্বনির্ভরতার পথ চলা শুরু, উল্লেখ করে সনিয়া আসলে মহাকাশ গবেষণায় জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর সময়ের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন।
ইসরোর যাত্রা ১৯৬৯-এ শুরু হলেও ভারতে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার সূত্রপাত স্বাধীনতার আগে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবসারভেশন্যাল সায়েন্স স্থাপন করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে মহাকাশ গবেষণায় আরও গতি আনেন নেহরু। সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীও।