শেষ আপডেট: 25th February 2023 08:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছত্তীসগড়ের রায়পুরে (Chhattisgarh's Raipur) কংগ্রেসের মহা অধিবেশনে শনিবার ভাষণ দিলেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। আধ ঘণ্টার ভাষণে প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি তাঁর রাজনীতিতে যোগদান, দলের শীর্ষ পদে আসীন হওয়া থেকে বিদায়পর্বের বর্ণনা দেন। তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপি এবং আরএসএসকে।
সনিয়ার সভাপতিত্বের ইনিংস শেষে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বভাবতই সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির ভাষণ জুড়ে ছিল তাঁর সময়কার কথা। সনিয়া বলেন, ‘আমার ২২ বছরে সভাপতিত্বে দলের সাফল্য আছে, আছে ব্যর্থতাও। তবে দুটি বিষয় আমাকে ব্যক্তিগতভাবে তৃপ্ত করেছে।’
সনিয়া বলেন, ‘একটি হল, মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকারের দশ বছরের শাসন। সেই সরকার দেশের জন্য অনেক কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনমোহন সিং দেশের এবং কংগ্রেসের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সনিয়া বলেন, ‘দ্বিতীয় বিষয়টি হল ভারত জোড়ো যাত্রা। আমি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এই যাত্রা শুরু করেন মাননীয় রাহুলজি। আমি মাননীয় রাহুলজিকে ধন্যবাদ দেব, তিনি এমন একটি সময় এই যাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন যখন দেশে হিংসা, ঘৃণার বিরুদ্ধে মানুষের জন্য সম্প্রীতির বার্তা প্রয়োজন ছিল।’
সনিয়ার ভাষণের সময় রায়পুরের মহা অধিবেশনের মঞ্চে তখন বসে রাহুল গান্ধী এবং বোন প্রিয়ঙ্কা। শুধু সনিয়াই নন, প্রারম্ভিক ভাষণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, প্রবীণ নেতা অম্বিকা সোনি, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালারাও ভাষণেও ঘুরে ফিরে এসেছে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার প্রসঙ্গ।
কংগ্রেসের এবারে মহা অধিবেশনের মঞ্চে সনিয়া ও রাহুল, এই দুই প্রাক্তন সভাপতি রয়েছেন। ১৯৯৭ সালের পর এবারই প্রথম মহা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতার সভাপতিত্বে।
তবে মহা অধিবেশন জুড়ে আছেন সনিয়াই। শনিবার তিনি ভাষণ শুরুর আগে প্রতিনিধিদের সামনে সনিয়াকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। সেটির মূল বার্তা, সনিয়া এমন একজন নেতা যিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া, ২০০৪-এ প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি না হওয়ার প্রসঙ্গ বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে তথ্যচিত্রটিতে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধ্যপ্রদেশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে ধাক্কা ট্রাকের! মৃত্যু ৬ জনের, আহত ৩৫