শেষ আপডেট: 16th October 2023 20:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাতের আবহে ফের আটকে গেল মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী, বিধায়কদের মাসিক বেতন গড়ে ৪০ হাজা্র টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একান্ত আলাপচারিতায় শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধী দলের বিধায়কদের একাংশও মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলেন।
পুজোর আগেই সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে সোমবার তড়িঘড়ি একদিনের জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল বিধানসভায়। তবে রাজ্যপাল সই না করায় ফের আটকে গেল আরও একটা বিল।
বিধানসভা সূত্রের খবর, পুজোর মুখে এভাবে বেতন বৃদ্ধির আশা থমকে যাওয়ায় মন ভাল নেই অনেক মন্ত্রী, বিধায়কের। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি বিধায়কদের একাংশ। প্রকাশ্যে এবিষয়ে টুঁ শব্দটি না করলেওএকান্ত আলপচারিতায় রাজ্যপালের এমন ভূমিকার নিন্দায় করছেন তাঁরা।
বাঁকুড়ার এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, “দিল্লির মতো ছোট রাজ্যে একেকজন বিধায়ক বেতন বাবদ মাসে পান ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও ভ্রমণবাবদ সরকার বছরে তাঁদের জন্য বরাদ্দ করেছে ৩ লক্ষ টাকা। উত্তরপ্রদেশে বিধায়কেরা মাসে পান ১ লক্ষ ৮৭ হা়জার টাকা। সেখানে আমাদের রাজ্যে বিধায়কদের বেতন মাত্র ৮১ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই বৈষম্য অনেকখানি ঘুচল বলেই মনে করছিলাম। কিন্তু কোথায় কি!”
দক্ষিণবঙ্গের আর এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সব বিষয়ে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা ঠিক নয়।”
এতদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পূর্ণ মন্ত্রীদের মোট বেতন ছিল ভাতা সহ ১ লাখ ১০ হাজার। একইভাবে রাষ্ট্র মন্ত্রীদের মোট বেতন ভাতা সহ ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৯০০ টাকা। বিধায়কদের মোট বেতন ভাতা সহ ছিল ৮১ হাজার টাকা। এক ধাক্কায় সকলের বেতন ৪০ হাজার টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভা সূত্রের খবর, সরকার চেয়েছিল, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির এই সংশোধনী বিল সোমবারই পাশ করিয়ে নিতে। যেহেতু এটি আর্থিক বিল, তাই তা বিধানসভায় পেশ করার আগে প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের অনুমতির। সূত্রের খবর, অনুমোদনের জন্য দিন তিনেক আগেই এই বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই বিলে সই করেননি আনন্দ বোস।