শেষ আপডেট: 22nd October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিশিল্ড টিকা চলে আসতে পারে আগামী বছরের গোড়াতেই। এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে সেরাম। সম্প্রতি সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, কোভিশিল্ড টিকার আরও বেশি ডোজ আসবে একুশের শেষে। সেই সঙ্গেই আরও চার রকমের টিকার ডোজ নিয়ে আসবে সেরাম। সব মিলিয়ে একুশ থেকে বাইশ সালের মধ্যে করোনা টিকার প্রায় ১০০ কোটি ডোজ চলে আসবে ভারতের বাজারে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার ভ্যাকসিনের ফর্মুলায় কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করেছে ভারতের প্রথম সারির ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। মাঝে সুরক্ষার জন্য এই টিকার ট্রায়াল বন্ধ হয়ে গেলেও এখন দেশের প্রায় ২০টি শহরে কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল চলছে। পাশাপাশি, ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে কোভিড ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও শুরু করতে চলেছে সেরাম। প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর বৃহত্তর ট্রায়ালের পরিকল্পনা রয়েছে। সেরাম সিইও আদর জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড টিকার পাশাপাশি কোভোভ্যাক্স, কোভিভ্যাক্স, কোভি-ভ্যাক ও এসআইআই কোভ্যাক্স টিকার সেফটি ট্রায়াল করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট গুলি সুরক্ষিত প্রমাণিত হলেই মানুষের শরীরে প্রয়োগ শুরু হবে। প্রতিটি টিকার অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ আছে। সার্স-কভ-২ ভাইরাল প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। সেরামের অধীনস্থ নতুন সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট লাইফ সায়েন্সেস কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানিয়েছে। নোভোভ্যাক্স বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি করে এই টিকা তৈরি করেছে সেরাম। কোভোভ্যাক্সের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল মে মাস নাগাদ। অস্ট্রেলিয়াতে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছিল। এ বছরের শেষে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার বৃহত্তর ট্রায়াল হবে। আদর বলেছেন, পুণে, চণ্ডীগড়ে কোভিশিল্ড টিকার বৃহত্তর ট্রায়াল চলছে। এখনও অবধি কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে টিকার ডোজের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে কোনওরকম শারীরিক জটিলতাও দেখা যায়নি। আশা করা যাচ্ছে, একুশ সালের শুরুতেই কোভিশিল্ড টিকার ২ কোটি ডোজ চলে আসবে। এর পরে প্রতি মাসে ৭-৮ কোটি টিকার ডোজ তৈরির চেষ্টা করা হবে। দেশের সব জায়গায় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকার ডোজ পৌঁছে দেওয়া যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।