শেষ আপডেট: 24th August 2024 09:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর ইস্যুতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিছিলে অংশ নেওয়ায় হাওড়ার তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস পাঠানোর অভিযোগ উঠল হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই) বিরুদ্ধে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।
২৩ অগস্ট বিকেলে ওই চিঠি পেয়েছেন হাওড়ার তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "এটা কি ব্রিটিশ শাসন চলছে নাকি? পড়ুয়ারা স্বতস্ফূর্তভাবে কোনও আন্দোলনে যোগ দিলে প্রধান শিক্ষক কীভাবে বাধা দেবেন? তাছাড়া ঘটনাটি তো স্কুল ক্যাম্পাসে ঘটেওনি, ফলে স্কুলের বাইরে পড়ুয়ারা কী করছে, তার দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকদের নয়ও।"
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে দ্রুত তদন্ত এবং বিচার চেয়ে রাজ্য, দেশ এবং সারা বিশ্বে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা- শিক্ষাকর্মী তার বাইরে নয়। রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন, অবস্থান, বিক্ষোভ চলছে তা এক কথায় নজিরবিহীন।"
১৪ অগস্ট মধ্যরাতে আরজিকর হাসপাতালে যে ভাঙচুর এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে চন্দন মাইতি বলেন, "আরজি করে ৭০ জন কলকাতা পুলিশ ছিল, ওরা হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেখানে শত শত ছাত্রছাত্রীর স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ প্রধান শিক্ষক সামলাবেন কীভাবে? তাহলে তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ ডাকতে হয়!"
অবিলম্বে হাওড়ার ডিআই ওই হুমকি-চিঠি প্রত্যাহার না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চন্দনবাবু।
ঘটনার সূত্রপাত, আরজি কর হোক বা অন্য কোনও ঘটনার প্রতিবাদ, মিছিল, রাস্তা অবরোধ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ নিয়ে জেলাশাসকের কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাতে লেখা রয়েছে, ‘স্কুল পড়ুয়াদের রাস্তা অবরোধ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এটা আমাদের নজরে এসেছে। এই কাজ কোনও ভাবেই করা যাবে না।'
নবান্নের নির্দেশ, ‘এটা নিশ্চিত করতে হবে এই ঘটনা যেন না ঘটে। খুঁজে বের করুন এরকম কোনও জায়গায় হচ্ছে নাকি, তাহলে সেটা বন্ধ করতে হবে। যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।’ এরপরই বিভিন্ন স্কুলে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিআই-রা। যা 'ধরে আনতে বললে বেঁধে আনার সমান' বলে কটাক্ষ চন্দন মাইতির।