শেষ আপডেট: 29th July 2024 16:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা সহ রাজ্যের বাজারগুলিতে দাম নাগালের মধ্যে না আসা পর্যন্ত প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আলু পাঠাবে না রাজ্য সরকার। সোমবার এক সরকারি আধিকারিক বলেন, রাজ্যে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা না না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ রাখা হবে। অর্থাৎ আলুর দাম ৩০ টাকায় এসে ঠেকলে তবেই অন্য রাজ্যে আলুর পাঠানোর কথা ভাববে নবান্ন।
দেশের মধ্যে আলু উৎপাদনে বৃহত্তম রাজ্যের মধ্যে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। উল্লেখ্য, স্থানীয় বাজারে আলুর দাম বাড়তে থাকায় অন্য রাজ্যে পাঠানো বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু, প্রতিবেশী অসম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বিহার মূলত নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের আলুর উপর। রাজ্য সরকারের কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক এদিন জানান, আমরা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু, আমাদের লক্ষ্য হল খুচরো বাজারে আলুর দাম ৩০ টাকায় নামিয়ে আনা। খুচরো বাজারে ৩০ টাকা হওয়ার পরই বাইরে আলু পাঠানোর কথা ভাবা যাবে।
তিনি আরও বলেন, খুব গভীরভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বিস্তারিত পর্যালোচনার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। বর্তমানে কলকাতার খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা। যেখানে হিমঘর থেকে এই আলু বেরচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে। রাজ্য সরকার পরিচালিত সুফল বাংলায় জ্যোতি আলু মিলছে ২৯ টাকা কেজিতে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, দাম নির্ধারণ বা বাইরে আলু পাঠানো নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ তাঁরা পাননি। ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আলু বাইরে পাঠানো বন্ধ রাখা হলে রাজ্যের হিমঘরে তা উদ্বৃত্ত হয়ে যাবে যাতে পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আলু পাঠানো বন্ধ রাখায় সেই সমস্ত জায়গায় আলুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে।