শেষ আপডেট: 13th April 2024 19:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইডি হেফাজতে শেখ শাহজাহানকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর করে বয়ান লিখতে বাধ্য করা হয়েছে, আদালতে এমনই অভিযোগ তুলেছেন শাহজাহানের আইনজীবী। শনিবার সন্দেশখালি মামলার শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল আদালতে শাহজাহানের বিচার বিভাগীয় হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেন, শাহজাহানের বিরুদ্ধে অনেকে মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন, কাজেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলে সমস্যা হতে পারে। পাল্টা শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হুসেন অভিযোগ করেন, হেফাজতে শাহজাহানের উপর জোর খাটিয়ে বয়ান লিখতে বাধ্য করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সন্দেশখালি মামলায় ফের নয়া মোড়। এদিন মামলার শুনানি চলার সময় ভরা এজলাসে শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেন একটি চিঠি দেখিয়ে বলেন সেটি শাহজাহান লিখেছেন। ওটাই নাকি পিটিশন। ওই চিঠিতে শাহজাহান লিখেছেন, ইডি হেফাজতে থাকার সময় তাঁকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা নাকি জোর করে বয়ান দিতে বাধ্য করেছে। হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শাহজাহানের আইনজীবী দাবি করেছেন, বয়ান না দিলে শাহজাহান ও তার পরিবারকে মাদক মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়েছে।
যদিও শাহজাহানের আইনজীবীর ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা কখনওই জোর খাটাননি শাহজাহানের উপর। চিঠি নিয়েও আপত্তি তুলেছেন ইডি-র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। এর পরই ইডির তদন্তকারী অফিসার এজলাসেই জানতে চান, শাহজাহান এই চিঠি লিখেছেন কি না? এই বিতর্কিত ‘চিঠি’ নিয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে দাবি করেন, এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়। চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন। এই চিঠি কোনওভাবেই আদালতের রেকর্ডে না রাখার আবেদন জানানো হয়।
ইডির যুক্তি, এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন তার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। বিতর্কিত ওই চিঠি নিয়েই এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। শেষ পর্যন্ত আদালত জানায়, চিঠি গ্রহন করলেও ইডি স্পেশাল কোর্টে ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।