শেষ আপডেট: 31st January 2024 12:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ শাহজাহানের আগাম জামিনের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। এদিকে তার কোনও পাত্তাই নেই। গোপনে থেকেই নিজের আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন শাহজাহান। আইনজীবী মারফত জামিনের আবেদন জানান তিনি। হলফনামায় তাঁর স্বাক্ষর ছিল। ইডি জানাচ্ছে, অন্তরালে থেকেই পেপারওয়ার্ক করে যাচ্ছেন শাহজাহান। তাই দ্রুত শাহজাহান মামলার শুনানির আর্জি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে একসঙ্গেই আবেদন জানিয়েছে ইডি ও রাজ্য সরকার।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেছেন, মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তদন্ত প্রক্রিয়াও থেমে রয়েছে। ফলে অভিযুক্ত আড়ালে থেকেই তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তও দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার একযোগে দুটি মামলার শুনানি হবে।
সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন জারি করেছিল ইডি। কিন্তু, সোমবার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেখ শাহজাহান উপস্থিত হননি ইডি দফতরে। প্রতিনিধি মারফত কোনও বার্তাও পাঠাননি। এর মধ্যে নগর দায়রা আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী জাকির হোসেন। আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে হলফনামায় সই করে দেন অন্তরালে থাকা শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহানকে কেন সমন পাঠানো হয়েছে, তা তথ্য প্রমাণ সহ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এদিন আদালতে কিছুটা সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। ইডি বক্তব্য শোনার পর আদালত এই মামলা শনিবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। ইডি জানায়, যেহেতু শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদন সোমবার দাখিল হয়েছে, তাই এই ব্যাপারে প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। সেই কারণেই সময় চেয়ে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেরার সূত্র ধরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি আধিকারিকরা। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। একাধিক ইডি অফিসার আহত হন, মাথা ফাটে অনেকের। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেও গত ২৪ তারিখ ফের পলাতক শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান ইডি আধিকারিকরা। সেরকম কোনও বড় নথি না পেয়ে শাহজাহানের বাড়ির সামনে সমনের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে আসেন তাঁরা।