শেষ আপডেট: 7th September 2023 15:21
জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের বার্তা হাসিনার, ‘বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দুদের অন্যতম উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মিলিত হন। গণভবন হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাস। সেখানে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিশাল জমায়েতের আয়েজন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন প্রধান বক্তা।
গণভবনের জমায়েতের পাশাপাশি ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে গত দু’দিন ধরেই ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে। বেরিয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসক দল আওয়ামী লিগ ও বিএনপি-সহ বিরোধী দলের নেতাদের বড় সংখ্যায় দেখা গিয়েছে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান (Janmastami 2023), শোভাযাত্রায়।
হাসিনা (Sheikh Hasina) হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের বলেন, ‘আপনারা কেন নিজেদের সংখ্যালঘু বলেন? এদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই (No minority majority in Bangladesh)। নিজেদের সংখ্যালঘু বা দুর্বল মনে করবেন না। তাছাড়া আপনারা কেনই বা এমনটা মনে করেন, যেখানে আপনারা এদেশেরই মানুষ?’ হাসিনা আরও বলেন, ‘যারা এই মাটিতে জন্মেছে- তারা এই মাটিরই সন্তান এবং এ দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের সব ধরনের অধিকার রয়েছে।’
বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে হিন্দু, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, জুলুমের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের উপর হামলা, সংখ্যালঘুদের জমি-জায়গা কেড়ে নেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক বিবাদও চলছে সে দেশে। হাসিনা বলেন, ‘আমরা জানি সব জয়গায় কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে, যারা কিছু সমস্যা তৈরি করতে চায়। কেউ যেন কোন সমস্যা তৈরি করতে না পারে, সবাইকে সেদিকে নজর দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জন্মাষ্টমীর সমাবেশে গিয়েছিলেন ভারত-বাংলাদেশে মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটির কর্তা নারায়ণ সাহা মণি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আমরা খুশি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার কিছু ঘটনা ঘটেছে ঠিকই। কিন্তু অতীতের অন্য সরকারগুলির কার্যধারা এবং অভিজ্ঞতা থেকে আমরা উপলব্ধি করেছি, বর্তমান সরকারের সময়েই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদ। আমরা তাই খোলাখুলি বলছি, শেখ হাসিনাকেই আমরা ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই। তিনি বলেন, তাতে ভারতও লাভবান হবে। কারণ, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে মুক্ত করেছে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে বার বার অমানবিক নির্যাতন ও দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রতিনিধিদের বেতন না বাড়িয়ে বকেয়া ডিএ মেটান মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর
