শেষ আপডেট: 14th September 2024 17:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকালে হঠাৎই স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা প্রায় ৯৬ ঘণ্টা ধরে অবস্থান আন্দোলন করছেন সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা পৌঁছে যাওয়াকে অনেকেই 'মাস্টারস্ট্রোক' হিসেবে দেখছেন। সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ অবশ্য মনে করছেন, 'ছল-বল-কৌশল করে আন্দোলন দমাতে গেছেন মমতা।'
গত বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তাররা ৬ দফা দাবি নিয়ে নবান্ন সভাঘরে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। কিন্তু স্রেফ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সিদ্ধান্তে ডাক্তাররা অনড় থাকায় তা ভেস্তে যায়। শনিবারের বৃষ্টি ভেজা দুপুরে ধর্না মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়াকে পর্যবেক্ষকদের অনেকেই 'মাস্টারস্ট্রোক' হিসেবে দেখছেন।
মমতার এহেন উপস্থিতিকে অবশ্য সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ ছলনা হিসেবেই দেখছেন। দ্য ওয়াল-কে বাম নেতা ২০১৯ সালের এসএসসি-র ধর্নামঞ্চের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, '২৮ দিন ধরে যখন ধর্না-অনশন চলছিল ২৯তম দিনে ঠিক এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেস ক্লাবের বাইরে এসে উদয় হয়েছিলেন। বলেছিলেন লোকসভা ভোটের নোটিফিকেশন জারি হয়ে গেছে, আচরণবিধি লাগু হয়ে গেছে, এখন আমাদের কিছু করার নেই। আচরণবিধি উঠে গেলে তোমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেব। ওটা ছিল ২০১৯-এর এপ্রিল মাস, এখন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস। একজনেরও নিয়োগ হয়নি।'
শতরূপের কথায় 'মানুষের আবেগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ডাক্তারদের পক্ষে। তাই ছলে-বলে-কৌশলে আন্দোলন দমাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নামঞ্চে উদয় হয়েছেন'।
শুধু তাই নয়, এদিন শতরূপ তাঁর ফেসবুকেও মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নামঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি লেখেন, 'যখনই শুনেছিলাম ধর্নামঞ্চে ত্রিপল আর চালের বস্তা জড়ো হচ্ছে, তখনই মনে হয়েছিল…'
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে জুনিয়র ডাক্তারদেরও একটা রাস্তা খুলে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যেখানে ধর্নাস্থলে পৌঁছে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন, তাতে ডাক্তারদের আন্দোলন যে সফল, সে দাবিও জোড়াল হল।