শেষ আপডেট: 17th December 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘অ্যান এরা অব ডার্কনেস’ (An Era Of Darkness) বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার জিতে নিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
ব্রিটশ শাসনের অন্ধকার দিক নিয়ে ‘অ্যান এরা অব ডার্কনেস’। ব্রিটিশ শাসনকালে দেশ যেভাবে তার নিজস্ব গরিমা হারিয়েছিল তার সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। দেশজ বস্ত্র উৎপাদন, বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছিল ব্রিটিশরা পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই বইতে। চলতি বছর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সাতটি বইয়ের মধ্যে নন-ফিকশন বিভাগে নির্বাচিত হয় শশী তারুরের লেখা এই বইটি।
দেশের রাষ্ট্রভাষাগুলিতে অসামান্য সাহিত্যকীর্তির জন্য ১৯৫৪ সাল থেকেই দেওয়া হয় এই পুরস্কার। সাহিত্য অকাদেমি ফেলোশিপের পরে ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান এই সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। এ বছর ২৩টি ভাষায় সাহিত্যে অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।
বুধবার সাহিত্য অ্যাকাদেমির তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, শশী পুরস্কার পেয়েছেন ইংরেজি ভাষায় লেখা তাঁর নন-ফিকশন বইয়ের জন্য। হিন্দিতে লেখা কবিতার বই ‘ছিলাতে হুয়ে আপনে কো’-র জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন কবি নন্দকিশোর আচার্য। 'ঘুমের দরজা ঠেলে' প্রবন্ধের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন বাঙালি অধ্যাপক চিন্ময় গুহ। সাঁওতালি ভাষায় লেখা ছোট গল্পের বই ‘শিশিরজালি’-র জন্য সাহিত্য অকাদেমি পেয়েছেন গল্পকার কালীচরণ হেমব্রম। আগামী বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে কংগ্রেস সাংসদের হাতে।
রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি শশী তারুরের সাহিত্য জীবনও বেশ আলোচিত। শশীর ‘রায়ট’ ও ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নোভেল’ সাহিত্যমহলে বেশ চর্চিত। ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নোভেল’ বইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। নন-ফিকশনের মধ্যে শশী তারুরের উল্লেখযোগ্য বই হল ‘হোয়াই আই অ্যাম এ হিন্দু’ এবং ‘দ্য প্যারাডক্সিয়াল প্রাইম মিনিস্টার।’ জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ‘দ্য প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে। পরের বছর পেয়েছিলেন সর্ব দেশীয় প্রতিভা অ্যাওয়ার্ড। আরও একগুচ্ছ পুরস্কার রয়েছে শশী তারুরের ঝুলিতে।