শেষ আপডেট: 20th May 2024 11:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ-কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
শান্তনুর অভিযোগ, "কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভুল পথে পরিচালিত করে বনগাঁর বিভিন্ন বুথে তৃণমূলকে ছাপ্পা দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। এমনকী খবর পেয়ে আমি এলাকায় গেলে, সেখানে ঢোকার আগেই পুলিশ সাইরেন বাজিয়ে ছাপ্পাবাহিনীকে সর্তক করে দিচ্ছে।"
বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও জানাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শান্তনু। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থীর আনা অভিযোগ ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিন বনগাঁর কাটাগঞ্জে গোকুলপুর আদর্শ শিক্ষায়তন হাই স্কুলে (বুথ নম্বর ২৭১) ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে বুথে এসে পৌঁছন শান্তনু। স্থানীয় সূত্রের খবর, শান্তনু পৌঁছনের আগে দু'দুবার সাইরেন বাজায় পুলিশ।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, "পুলিশ সাইরেন বাজিযে সতর্ক করে দেওয়ায় ছাপ্পাবাহিনী সরে গিয়েছিল। তবে বুথে থাকা আমার এজেন্ট রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এজেন্ট আমাকে বললেন, 'এখানে কিছু বলব না। পরে বলছি।' বুঝতেই পারছেন এজেন্টের যদি এই হাল হয় সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কী।"
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, "পরাজয় নিশ্চিত বুঝে আগে থেকেই ছাপ্পার নাটক শুরু করেছে বিজেপি।" যদিও এ ব্যাপারে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
এদিকে এদিন সকালে বনগাঁর গয়েশপুরের বেদীভবনের কাছে কেন্দ্রীয বাহিনীর উপস্থিতিতেই বিজেপির গয়েশপুর শহর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ওপর ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুবীরবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত ধরও। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সংশ্লিষ্ট বুথে।
আক্রান্ত সুবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছিল তৃণমূল। প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় ফেলে মারধর করে। গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও।