শেষ আপডেট: 3 February 2024 12:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। শনিবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আর সেখানেই বিস্ফোরক দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি জানান, শঙ্করের নামে আদতে কোনও নোটিসই পাঠায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যাঁর নামে নোটিস গিয়েছিল তিনি নাকি অন্য ব্যক্তি!
শনিবার শঙ্কর আঢ্যর মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন , শঙ্করকে গত ২৬ ডিসেম্বর সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেসময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য এক মাস সময় চেয়েছিল বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। কিন্তু পরে ইডি জানায় যে তাঁরা শঙ্করকে কোনও সমন পাঠায়নি।
বিশেষ ইডি আদালতে এদিন শঙ্করের আইনজীবী জানান, সমনের কিউআর কোডে স্ক্যান করলে শঙ্করের আঢ্যর নাম দেখা যায়নি। বদলে রাকেশ সিং নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। সমন না পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেয় ইডির আইনজীবীও। আর এমন বিস্ফোরক দাবি শুনে তদন্তের আশ্বাস দেন বিচারক।
একইসঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও ফের অস্বীকার করেন শঙ্কর আঢ্য। বনঁগা পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ব্যবসার কাজের জন্য বালুর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। কিন্তু পরে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর আইনজীবীর দাবি, ''যদি বালুর সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকত তাহলে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হত না।''
অন্যদিকে, শঙ্করের তরফে এদিন জামিনের জামিনের আবেদন করা হয়নি। আদালতে মক্কেলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, শঙ্করের শারীরিক কিছু পরীক্ষার দরকার রয়েছে। কিন্তু জেলে ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না। অপরদিকে, ইডি-র তরফে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর আঢ্য। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁয় তৃণমূলের খারাপ ফল হওয়ার পর পুর প্রশাসক পদ থেকে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও বনগাঁয় খারাপ ফল হওয়ার শঙ্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন একাধিক কাউন্সিলর। গত পুর নির্বাচনে আর টিকিট পাননি তিনি। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাপট চরমে, তার মধ্যেই পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল শঙ্করকে। সেই সময়েই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কে চিড় নিয়ে কানাঘুষোও শোনা গিয়েছিল।