শেষ আপডেট: 18th June 2023 14:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডাকাতির অপরাধে ১২ এবং খুনের মামলায় ৩০, মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল শাহজাহান ভূঁইয়ার। রবিরার জেলখানা থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। তবে ১০ বছর আগেই। ৪২-এর জায়গায় তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে করা হয় ৩০।
জেলখানায় ভাল আচরণ, ভাল কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপনে সাজার মেয়াদ কমানোর নিয়ম ব্রিটিশ আমল থেকে চালু আছে। শাহজাহান ভূঁইয়ার ক্ষেত্রে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত হিসাবে সরকার মান্যতা দিয়েছে ২৬টি ফাঁসি।
ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩২ বছরের জেল জীবনে বাংলাদেশের নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামের বছর সত্তরের শাহজাহান ভূঁইয়া মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২৬জন আসামীকে ফাঁসি দিয়েছেন।
সেই তালিকায় আছে বাংলাদেশের জাতির পিতা তথা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় খুনি, জামায়াত ইসলাম নেতা আবদুল কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জেএমবির দুই জঙ্গি।
রবিবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়া বৃদ্ধ শাহজাহানের অবশ্য মন খারাপ। কারণ, জেলে তাঁর দুবেলা খাবার জুটত। এখন খাওয়াবে কে, এই প্রশ্ন ঘুরপাঁক খাচ্ছে তাঁর মনে। জেলে দীর্ঘদিন এক সঙ্গে কাটানো, আগে ছাড়া পাওয়া এক ব্যক্তি আপাতত শাহজাহানকে নিজের বাড়িতে রাখবেন। খুনের অপরাধে জেলে গিয়ে জল্লাদ বনে যাওয়া শাহজাহান চান সরকার তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিক। কিছু না হোক, সামান্য ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ৪২ বছরের সাজার মধ্যে প্রতিটি ফাঁসির জন্য দুই মাস করে কারাবাসের মেয়াদ কমেছে ওই ব্যক্তির। এর সঙ্গে জেলে ভাল আচরণের জন্য ছাড় পাওয়া দিনগুলি মিলিয়ে ১০ বছর চার মাস সাজা মকুব হয়েছে দুটি ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত শাহজাহানের। সাজা খেটেছেন ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন। জেল সুপার জানান, ওই ব্যক্তির টাকাপয়সা না থাকায় ১০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড মকুব করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার জেল থেকে বেরিয়ে এই ফাঁসুড়ে বলেন, ‘প্রতিটি ফাঁসির আগে মন খারাপ লাগত। কিন্তু কাউকে না কাউকে কাজটা করতেই হত। এটাই জেলের নিয়ম। আমাকে বলায় রাজি হয়েছি। এখন অন্য কেউ করবে।’ ফাঁসি দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা লতে গিয়ে শাহজাহান বলেন, একজনকে ফাঁসি দেওয়ার সময় তিনি দাবি করেন, ‘আমি নিরপরাধ।’ আর একজন ফাঁসির মঞ্চে ওঠার পর বলেন, ‘সিগারেট খাবো’।
চর্মরোগ সারাতে কোমর বাঁধছেন ভারত-বাংলাদেশের ডাক্তাররা, দুই বাংলার উদ্যোগে বড় কর্মসূচি