অনেক চাকরিহারা আর আন্দোলনে যা গিয়ে পুরনো চাকরিতে ফেরার আবেদন করছেন।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 16 May 2025 20:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি মামলায় (SSC Case Verdict) সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গেছে। তবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এও জানিয়েছিল, এই প্যানেলে নাম আছে এমন যাঁরা অন্য রাজ্য সরকারি দফতরের চাকরি ছেড়ে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে তাঁদের পুরোনো অফিসে বা কাজে ফেরত যেতে পারেন। প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন মাসের সময়ও দেওয়া হয়েছিল। এখন জানা গেল, কমপক্ষে ৪০০ জন এই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন (Application) করেছেন। তাঁরা তাঁদের পুরনো চাকরিতেই ফিরে যেতে চান।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পথে নেমে বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারারা। নিজেদের 'যোগ্য' বলে দাবি করে ইতিমধ্যে তাঁরা একাধিক মিটিং, মিছিল করেছেন। বর্তমানে বিকাশ ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জও করেছে। এই ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। আর এর ঠিক বিপরীতে অনেক চাকরিহারা আর আন্দোলনে যা গিয়ে পুরনো চাকরিতে ফেরার আবেদন করছেন।
সূত্রের খবর, যাঁরা অন্য কোনও সরকারি ছেড়ে স্কুলের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন এবং এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত হয়ে চাকরিও পেয়েছিলেন, তাঁদের একটা বড় অংশই ফিরতে চাইছেন পুরনো চাকরিতে। এর জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরে ৪০০-র কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষা দফতরও প্রত্যেকটি আবেদন খতিয়ে দেখছে। কে কোথায় চাকরি করতেন, আদৌ ঠিক তথ্য দিয়েছেন কিনা, তা যাচাই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতের মতো আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের ওপর এর আগেও অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কসবার ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের সময়ও তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় এবং তাতে বহু শিক্ষক গুরুতর আহত হন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বৃহস্পতিবার। চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতে রাত ৮টার পর সাইরেন বাজিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তাতে একাধিক আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হয়েছেন। অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য পুলিশের অন্যতম দুই শীর্ষ কর্তা বলেন, "বলপ্রয়োগ করার হলে বেলাতে ওরা যখন বিকাশ ভবনের গেট ভেঙেছিল তখনই তো পুলিশ সেটা করতে পারতো। বরং টানা ৭ ঘণ্টা ধরে পুলিশ ধৈর্য-সংযমের পরীক্ষা দিয়েছে।"
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একদিকে পুলিশি লাঠিচার্জ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধেই স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি কর্মীদের আটকে রাখা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে।