শেষ আপডেট: 18th May 2024 19:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক বাকি। ভোট আবহের মধ্যেই সন্দেশখালিতে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস গড়েছে সিবিআই। যাঁরা সিবিআইয়ের কাছে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানাতে পারছেন না, তাঁরা ওই ক্যাম্প অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী চলবে অভিযানও।
শুক্রবারের পর শনিবারও আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সঙ্গে সন্দেশখালি ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন এলাকার মহিলারা। সেখানেই অভিযোগ জানাতে আসেন রিনা রায় অধিকারী নামে এক মহিলা। যিনি ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের টেন্ডারের ভিত্তিতে ফেরিঘাট চালানোর দায়িত্ব পান। নিলামের মাধ্যমে তাঁর নাম জেলা পরিষদে উঠলেও গত ১০ বছর শাহজাহান বাহিনীর দাপটে ঘাট চালাতে পারেননি তিনি।
২০১৪ সালের ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিলামের মাধ্যমে ফেরিঘাট পান রিনা। সরকারি নিয়মে তার প্রাপ্য জুটলেও শেখ শাহজাহান সহ তাঁর শাগরেদরা তাঁকে ঘাট চালাতে দেয়নি বলে অভিযোগ। শনিবার দশ বছর পর সেই ধামাখালিতে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে অভিযোগ দায়ের করলেন রিনা। তিনি বলেন, “দশ বছরের সুদে আসলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ওপরে হয়ে গেলেও, আমার প্রাপ্য জিনিস আমাকে করতে দেয়নি শিবু উত্তমরা। তাঁর আশা, ফেরিঘাটে লাগানো সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন তিনি।
সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবল জোর করে ভেড়ি-জমি হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকী নির্যাতনের হাত থেকে বাদ যাননি মহিলারাও। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে দু’টি ই-মেল আইডি প্রকাশও করেছিল সিবিআই, যাতে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাতে পারেন।
এদিকে বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সন্দেশখালির বাসিন্দারা অনেকেই ইন্টারনেট সেভাবে ব্যবহার করতে পারেন না। তার ফলে অভিযোগ জানাতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে, কলকাতা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে প্রতিদিন সন্দেশখালিতে গিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সময়ও নষ্ট হচ্ছে। সেই কারণে শুক্রবার সন্দেশখালিতে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করে সিবিআই। দু’দিনে ভূরি ভূরি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।