শেষ আপডেট: 27th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছে। অক্সফোর্ডের ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিনের ফর্মুলায় তৈরি সেরামের টিকা কবে আসতে চলেছে ভারতের বাজারে, সে ব্যাপারে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ হবে। আগামী বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে দেশে। জরুরি ভিত্তিতে টিকার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে, বলেছেন আদর। দেশের ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটি অনুমোদন দিলে ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকা চলে আসতে পারে দেশে। আদরের কথায়, “টিকার পর্যাপ্ত ডোজ তৈরির প্রস্তুতি করে রেখেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এখন সব কিছুই নির্ভর করছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উপরে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে টিকার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে। সব ঠিক থাকলে খুব দ্রুত কোভিশিল্ড টিকা চলে আসবে দেশের বাজারে।” প্রথম ধাপে ১০ কোটি টিকার ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, বলেছেন সেরাম সিইও আদর পুনাওয়ালা। আগামী বছরের মাঝামাঝি এই পরিমাণ টিকার বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আরও বেশি টিকার ডোজ তৈরির প্রস্তুতিও চলছে। আদর বলেছেন, ব্রিটেনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার ট্রায়ালও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বর বা আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যেই টিকা চলে আসবে। অক্সফোর্ড টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টও ভাল হবেই আশা করা যায়। এদিকে কোভিশিল্ড টিকার দুই পর্বের ট্রায়াল রিপোর্টও সন্তোষজনক। মানুষের শরীরেও এই টিকা কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। এখনও অবধি টিকার ডোজে কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কোভিশিল্ড টিকার পাশাপাশি আরও চার রকমের টিকার ডোজ তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সিইও বলেছেন, কোভোভ্যাক্স, কোভিভ্যাক্স, কোভি-ভ্যাক ও এসআইআই কোভ্যাক্স টিকার সেফটি ট্রায়াল করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট গুলি সুরক্ষিত প্রমাণিত হলেই মানুষের শরীরে প্রয়োগ শুরু হবে। প্রতিটি টিকার অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ আছে। সার্স-কভ-২ ভাইরাল প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। সেরামের অধীনস্থ নতুন সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট লাইফ সায়েন্সেস কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানিয়েছে। নোভোভ্যাক্স বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি করে এই টিকা তৈরি করেছে সেরাম। কোভোভ্যাক্সের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল মে মাস নাগাদ। অস্ট্রেলিয়াতে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছিল। এ বছরের শেষে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার বৃহত্তর ট্রায়াল হবে। সব মিলিয়ে একুশ থেকে বাইশ সালের মধ্যে করোনা টিকার প্রায় ১০০ কোটি ডোজ চলে আসবে ভারতের বাজারে।