শেষ আপডেট: 24th April 2024 19:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের পরেই ১৪ বছরের কিশোরের মৃত্যু হওয়ায় হুলস্থুল কাণ্ড ঘটল শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে। ক্ষোভের বশে চিকিৎসককে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল কিশোরের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। অবশেষে মারমুখী জনতা হাত থেকে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, ধনিয়াখালির ভাণ্ডারহাটি বেনেপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ চক্রবর্তীর ছেলে অগ্নিশ। ১৪ বছরের ওই কিশোর ক্লাস এইটের ছাত্র। শনিবার অগ্নিশের পেটে অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হওয়ায় তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।স্থানীয় ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে দেখানোর পরেও অগ্নিশের পেটের যন্ত্রণা কমেনি।
তাই মঙ্গলবার তাকে ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের ডাক্তারবাবু দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। তাই শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে ওই দিনই বেলা বারোটা অগ্নিশকে ভর্তি করা হয়। আল্ট্রসোনোগ্রাফি করার পরে নার্সিংহোমের চিকিৎসক অ্যাপেন্ডিক্স বাদ দিতে হবে বলে কিশোরের পরিবারকে পরামর্শ দেন।
দুটোর সময়ে ওই নার্সিহোমের অপারেশন থিয়েটারের নিয়ে যাওয়া হয় অগ্নিশকে। চারটের সময় অপারেশন শেষ হলে চিকিৎসক পরিবারকে জানান "ছেলে সুস্থ" রয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার সময়ে অগ্নিশের পরিবার নার্সিংহোমে তাঁকে দেখতে গেলে অগ্নিশ তাঁর মার সঙ্গে কথাও বলে। সেই সময়ে চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরের অবস্থা স্থিতিশীল নয়। এরপরেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই মৃতের পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, "সুজয় মহান্তি নামে এক চিকিৎসক অগ্নিশের অস্ত্রোপচার করবেন বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রুবেল গাঙ্গুলি নামে এক চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন। মদ্যপ অবস্থায় থাকেন ওই চিকিৎসক।"
নার্সিংহোমের অভিযোগ, বুধবার ডাক্তার মহান্তিকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেন মৃত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। চুলের মুঠি ধরে মারা হয় তাঁকে।
নার্সিংহোমে গন্ডগোলের খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শ্রীরামপুর থানায় চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা।