শেষ আপডেট: 30th September 2024 17:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য শিয়ালদহ আদালতে আবেদন জানিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিবিআই।
জানা গেছে, সোমবার আদালতে সিবিআই দাবি করে, তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে, যা এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সন্দীপ ঘোষকে আরও তিন দিন রাখার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু সে আবেদন শুনে বিচারক প্রশ্ন করেন, জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ থাকলেও কেন সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে সিবিআই? এর পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দু'জনকে জেরার আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়।
এদিন ভার্চুয়ালি দুজনকে আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই এদিন আদালতে জানায়, মোবাইল থেকে ডেটা ট্রান্সফার করতে গিয়েই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। সেকারণেই দুজনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। যদিও পাল্টা এদিন জামিনের আবেদন জানানো হয় সন্দীপ ও অভিজিতের আইনজীবীদের তরফেও।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, এর আগে তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে নিলেও কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
এরপরই সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন, জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ থাকলেও কেন দুজনকে হেফাজতে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা? বিচারপতি বলেন, কেন আপনারা পুলিশি হেফাজত চাইছেন না? জেলে গিয়েও তো প্রশ্ন করা সম্ভব! এরপরই সিবিআইয়ের তরফে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে খবর। শেষ পর্যন্ত সন্দীপের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদনের পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও জানায়। বিচারক সাফ জানান, আবেদনের সময় আর যেন কোনও ভুল না হয়।
টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলের আইনজীবী এদিন আদালতে সওয়াল করেন, 'আমার মক্কেলের সঙ্গে অপরাধের কোনও যোগাযোগ নেই। টালা থানার কোনও সিসিটিভি ফুটেজ বা তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়নি।' সোমবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ রয়েছে অভিজিতের। এদিন তাঁর আইনজীবীর দাবি, সিবিআই যেহেতু তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে নিতে নতুন করে আবেদন করেনি, তাই তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক।