চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানানোর জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ
শেষ আপডেট: 24th April 2024 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। আদালতের রায়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরি হারানোয় রাজ্যের স্কুলগুলিতে কারা পড়াবেন? পঠনপাঠন ছাড়াও স্কুলের অন্যান্য কাজকর্মই বা কীভাবে চলবে, সেইসব প্রশ্নই মাথাচাড়া দিচ্ছে। যাবতীয় জটিলতা নিয়ে শিক্ষক-পড়ুয়া কিংবা অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাই এবার চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানানোর জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিল জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা (ডিআই)।
হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায়ের পর রাজ্যের স্কুলগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যে সব স্কুল নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে জটিলতা আরও প্রকট। তাই সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।
আদালতের নির্দেশ মাফিক যদি ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে যায় সেক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও বুধবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে এসএসসি। তাই সেই মামলার উপর শিক্ষাদফতরের সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে সরকার অধীনস্থ স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। গরমের ছুটি শেষে স্কুল খুললে কী অবস্থা তৈরি হবে, তা এখন থেকেই ভাবাচ্ছে। আবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই অবস্থায় স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী কম থাকলে সব কাজ ঠিকঠাক সময় মতো করে ওঠা যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।