শেষ আপডেট: 11th January 2025 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় স্কুলছুট নেই! সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এক রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে গত এক বছরে কোনও স্কুলছুট হয়নি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের এই রিপোর্টে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কেন্দ্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও স্কুলছুট নেই। অর্থাৎ মাঝপথে কোনও পড়ুয়া স্কুল ছেড়ে দেয়নি বা পালিয়ে যায়নি। এক কথায়, স্কুলছুটের হার শূন্য। কেন্দ্রের এই রিপোর্টকেই সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরে ড্রপ আউট শূন্য শতাংশে নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিয়মিত নজরদারিতে এটা সমগ্র দেশের তুলনায় বাংলার জন্য একটা বিরাট সাফল্য।'' প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে শুধু বাংলায় নয়, আরও একাধিক রাজ্যের স্কুলছুটের তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজ্যের কী হাল?
— Bratya Basu (@basu_bratya) January 11, 2025
কেন্দ্রের রিপোর্টে উঠে এসেছে, দিল্লি, চণ্ডীগড়, বিহার, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গনা, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল সহ একাধিক রাজ্যের তথ্য। তাতে দেখা গেছে, প্রাথমিক স্তরে সবথেকে বেশি স্কুল ছুটের সংখ্যা বিহারে (৮.৯ শতাংশ)। তারপর রয়েছে রাজস্থান (৭.৬ শতাংশ), মেঘালয় (৭.৫ শতাংশ), অসম (৬.২ শতাংশ), অরুণাচল প্রদেশ (৫.৪)।
উচ্চ প্রাথমিকেও সবথেকে বেশি স্কুল ছুটের সংখ্যা বিহার রাজ্যে, প্রায় ২৫.৯ শতাংশ। এছাড়া পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যে গত শিক্ষাবর্ষে স্কুল ছুটের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে, মেঘালয়, ১২.৪ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড এবং অসমে যথাক্রমে ৯ এবং ৮.২ শতাংশ স্কুল ছুটের সংখ্যা। বাকি রাজ্যগুলিতেও এই শতাংশ ৬-এর বেশি। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিহারকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।