শেষ আপডেট: 24th September 2024 23:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরের প্রাচীন জনপদ 'আমরাই গ্রাম'। সেখানের চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে শুরু হয়ে গেছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। এই পুজো প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। পুজোর সঙ্গে মিশে আছে বহু ইতিহাস।
এক সময়ে শাল, পিয়াল, বট, অশ্বত্থের জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই গ্রাম। নির্জন এই এলাকার জমিদারি পেয়েছিলেন চট্টাপাধ্যায় পরিবার। তাঁরাই এই এলাকায় দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, একসময় শাক্ত মতে পুজো হতো এখানে। সেই সময়ে মোষ বলির প্রথা ছিল।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আচার কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এখন মোষ বলি বন্ধ। দুর্গা এখন বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন।
এখানে দুর্গার বাঁদিকে থাকেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।কেন এমন নিয়ম, চট্টোপাধ্যায় বাড়ি উত্তরসূরিরা জানিয়েছেন, একবার পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করার সময়ে 'দক্ষিণে গণেশায় নমঃ' বলে ফেলেছিলেন। সেই থেকেই গণেশের স্থান হয় দুর্গার বাঁদিকে।
আমরাই গ্রামের জমিদারদের এই পুজোকে অনেকেই 'বাবুবাড়ির পুজো' বলে চেনেন। সন্ধিপুজো এখানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সপ্তসতী মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। গোটা জেলায় সম্ভবত আর কোনও বনেদি বাড়িতে এমন মহাযজ্ঞের আয়োজন হয় না বলেই দাবি করেছেন পরিবারে সদস্যরা।
এক আসনে উপবিষ্ট হয়ে অখণ্ড চণ্ডীপাঠ করেন পুরোহিত। তার সঙ্গে বেল কাঠ, ঘি দিয়ে মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে, প্রায় ৪০০ বছর আগের তালপাতার পুঁথিতে কালির বদলে মোষের রক্ত দিয়ে পালি ও সংস্কৃত ভাষাতে লেখা হয়েছিল চণ্ডীমন্ত্র। সে মন্ত্র উচ্চারণ করেই পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী।