শেষ আপডেট: 27th January 2025 18:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েই ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ জানিয়ে দিলেন সন্ন্যাসীরা আসলে কিং মেকার। ইতিহাস তার সাক্ষী। তাঁর কথায়, "আমরা দেখেছিলাম রাজা রামচন্দ্রের পিছনে ছিলেন বশিষ্ট মুনি ও বিশ্বামিত্র মুনি। শিবাজীর পিছনে থেকে শক্তি জুগিয়েছিলেন স্বামী রামদাস। তাঁর পতাকাই শিবাজীর পতাকা হয়েছিল। যাঁরা ভারত মায়ের কথা বলবেন, ভারতকে সর্বতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলবেন, আমি সন্ন্যাসী সর্বতভাবে তাঁদের পাশে থাকব।
একই সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে কি আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির পতাকা হাতে ময়দানে দেখা যাবে তাঁকে? এব্যাপারে অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাননি কার্তিক মহারাজ। প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা সন্ন্যাসী। বাড়ি ঘর ছাড়তে পারি। কিন্তু সামাজিক জীব হিসেবে দায়বদ্ধতা আছে। প্রয়োজন হলে আমরা ভারতবর্ষ বিশেষত বাংলাকে বাঁচানোর জন্য পথে নামব।"
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে কার্তিক মহারাজের সংঘাত নতুন নয়। ২০২৪ সালের ২০ মে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, "মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে যে জায়গায় ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা হয়েছিল, সেখানে ওঁর আশ্রম। উনি আশ্রম চালান, আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওখানে ইলেকশন এজেন্ট নেই কেন? তখন আমাকে বলা হল, কার্তিক মহারাজ বলে দিয়েছেন তৃণমূলের এজেন্টকে আমরা বসতে দেব না। আপনি বিজেপি করুন কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? আমি যেটা বলি সেটা বিনা প্রমাণে বলি না।"
এবারে ১১৩ জনকে পদ্মশ্রী দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় বাংলার ৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ভারত সেবাশ্রমের এই মহারাজের নামও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "কার্তিক মহারাজ প্রমাণ করে দিলেন পদ্মশ্রী পেতে গেলে বিজেপির হয়ে কথা বলতে হবে। পদ্মশ্রী নয় এগুলো পদ্মবিশ্রী!" পাল্টা জবাবে কার্তিক মহারাজের প্রতিক্রিয়া, "উনি নিজে এসব করেন বলে আমার নামে বলছেন। আসলে ওঁর চিন্তা যেমন, উনি তেমনই বলেছেন।"