শান্তনু ঠাকুর - ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 18 March 2024 14:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৪ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক করে মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ করেছিলেন, মতুয়া মহাসঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে তুলেছেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর বিরুদ্ধে ইডি বা সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শান্তনু ঠাকুরও পাল্টা নিশানা করেন তাঁকে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব আদতে কার হাতে থাকবে, সেই নিয়েই এই মামলা।
মমতাবালার দাবি ছিল, ভুয়ো মহাসঙ্ঘ চালাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তনু। তাঁর বক্তব্য, যিনি অভিযোগ করছেন তাঁর সংগঠনটাই ভুয়ো। মতুয়া মহাসঙ্ঘ পরিচালনার দায়িত্ব পরিবারের পুত্রবধুরা পান না বলেই দাবি তাঁর। এই প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শান্তনু। আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে মামলার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন পাশ করানো হয়েছিল। কিন্তু এতদিনে তা লাগু না হলেও চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের মুখে সিএএ লাগুর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে ঠাকুর বাড়ির অন্দরেও জোর টানাপোড়েন। সিএএ-কে হাতিয়ার করে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে এই আইনের বিরোধিতা করছেন মমতাবালা ঠাকুর। সিএএ বিরোধিতায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই দাবি তাঁর। এই সংঘাতের মাঝেই এবার মতুয়া মহাসংঘের রাশ নিয়েও চলছে দোলাচল। সেই আবহে কলকাতা হাইকোর্টে শান্তনু ঠাকুরের মামলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মমতাবালা ঠিক কী অভিযোগ করেছিলেন শান্তনুর বিরুদ্ধে? মমতাবালার দাবি, ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘অবৈধ’ ভাবে বিপুল অর্থ জমা পড়েছে বলে তিনি সম্প্রতি জানতে পারেন। তার সঙ্গে জড়িত শান্তনু। পাশাপাশি এও অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর তাঁর স্ত্রীর নামে জমি কিনেছেন, আত্মীয়-স্বজনের নামেও অবৈধভাবে জমি কেনা হয়েছে। এমনকী চাকরি দেওয়ার নামেও কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতাবালা।