শেষ আপডেট: 18th January 2025 16:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: "ওকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। ওর এত কুর্কীতি যে বাধ্য হয়েই আমরা ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখিনি। মাকেও নিয়ে চলে এসেছি। বোনেরা মিলেমিশে মায়ের দেখাশোনা করি।"
আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন তাঁর এক দিদি। তিনি কলকাতা পুলিশেই কর্মরত। এদিন আরজিকর কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শুনে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন সেই দিদি।
পরে নিজেকে সামলে চোখের জল মুছে বললেন, "দোষ করলে তো শাস্তি পেতেই হবে।"
সঞ্জয়ের দিদি সে সময় এও বলেছিলেন, "আরজিকরে ও(সঞ্জয়) যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে ওর কঠোরতম শাাস্তি হওয়া উচিত। তবে সকলের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন, দয়া করে ওর দেহ আমাদের দেবেন না। আমরা নেব না। কারণ, এমন মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যায় না।"
ওই প্রসঙ্গে এদিনও নিজের পুরনো বক্তব্যে অনড় থেকে তিনি বলেন, "দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মানে সাজা তো হবেই। তবে এবিষয়ে আমি ওর হয়ে কোনও আইনি লড়াই লড়ব না। ওর সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। তবে মা কী করবে বলতে পারব না।"
প্রসঙ্গত, সঞ্জয়কে নিয়ে তিতিবিরক্ত তার প্রতিবেশীরাও। তাঁদের কথায়, সারাদিন মদ খেত। একাধিক বিয়েও রয়েছে সঞ্জয়ের। কেউ ছেড়ে চলে গেলে, অন্য মহিলাদের সঙ্গে থাকত সে। এভাবেই চলত। যদিও অভিযুক্তের মা মালতী রায়ের দাবি, ছেলে যে এই ঘটনা ঘটাতে পারে তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি।