জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
শেষ আপডেট: 12th May 2024 15:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেশখালি কাণ্ডে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও (এই সংক্রান্ত কোনও ভিডিওয়র সত্যতা দ্য ওয়াল যাচাই করেনি) কে সামনে রেখে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের দাবি জানাল তৃণমূল। এ ব্যাপারে রবিবার পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে শাসকদল।
তৃণমূলের বক্তব্য, সন্দেশখালির এই ষড়যন্ত্রে রেখাদেবীকে সহযোগিতা করেছিলেন পিয়ালী দাস-সহ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এর আগে এ ব্যাপারে গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, "সন্দেশখালিতে নারী ধর্ষণের অভিযোগ শুধু বিজেপির সাজানো তা নয়, তাতে পূর্ণ মদত দিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে স্পষ্ট, সাদা কাগজে সই করিযে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ লেখানো হয়েছিল।"
শশী বলেন, "একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এভাবে কেউ যাতে পদের অপব্যবহার করতে না পারেন, তাই ওনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।"
গত ৪ মে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের যে ভিডিও ফাঁস হয়েছিল, তাতে গঙ্গাধর স্পষ্টতই জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে রেখা পাত্রদের ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। তাঁদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এজন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের টাকা ও মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
ওই ঘটনার পর আরও দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে এক নির্যাতিতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'সাদা কাগজে সই করিয়ে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। পরে আমরা অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে হুমকিও দেওয়া হয়'।
ফের ১১ মে গঙ্গাধরের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্লট সাজাতে ৭২ জন মহিলাকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপরই সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, মিথ্যে ভয় দেখানো সহ একাধিক অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন এর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসার পর তদন্তে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মা। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, "সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচার করা হয়েছে। পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি। ১৮ জন মহিলা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে।"