শেষ আপডেট: 3rd April 2024 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেশখালি কাণ্ডে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাত ঘুরে শাহজাহান এখন ইডির হেফাজতে।
বুধবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে শাহজাহানকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, "আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।"
তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে এর আগে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সন্দেশখালির একদা প্রভাবশালী নেতাকে। এমনকি রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রীতিমতো রাজকীয় কায়দায় বসিরহাট আদালতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির বাঘকে। সেদিন হাতের ইশারা ছাড়া মুখে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
এদিন শাহজাহান দাবি করেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে।" কারা ষড়যন্ত্র করেছে? শাহজাহানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, "বুঝতেই পারছেন, কারা এই ষড়যন্ত্র করছে!’’
এর আগে নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা রেশন দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল, 'ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব'। দেরিতে হলেও শাহজাহানও সেই 'ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব' সামনে আনায় রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর গাড়িতে ওঠার সময় একবারই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন শাহজাহান। তখন তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছিল। বলেছিলেন, ‘‘আল্লা আছেন, বিচার করবেন!’’ এদিন শাহজাহান 'ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব' তুলে ধরায় তাঁর মনোবল চিড় ধরেছে কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে সন্দেশখালিতে মারধর খেয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শাহজাহান। ইডির ওপর হামলার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে রেশন কেলেঙ্কারি ও মাছের আড়ালে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ, ঘুর পথে কোটি কোটি কালো টাকাকে সাদা করা হয়েছে। যার তদন্ত করছে ইডি।