শেষ আপডেট: 20th July 2024 14:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২১ জুলাইয়ের সভায় আগামিকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে মঞ্চে থাকতে পারেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। শহিদ দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের সব শরিক দলকেই মঞ্চে থাকার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। কিন্তু, সোমবার থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলায় অনেকেই হয়তো সেই অনুরোধ রাখতে পারবেন না। তবে মমতার অত্যন্ত পছন্দের, বিজেপি বিরোধী নয়া জমানার নেতা অখিলেশ সেই অনুরোধ ঠেলতে পারেননি। তাই আগামিকাল, রবিবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি আসতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সভায়।
রাজ্য সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক হবিবুর রহমান খান এই সংবাদ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন দলনেতা অখিলেশ। সপা নেতাকে স্বাগত জানাতে দলের কর্মী-সমর্থকরা বিমানবন্দরে যাবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণময় নন্দ, রাজ্য সভাপতি মানস ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টির রাজ্য কর্মী-সমর্থক ও নেতৃবৃন্দ ধর্মতলার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সেই সভার পর দলীয় স্তরে একটি বৈঠক হবে। সেখানে রাজ্যে সপার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করবেন অখিলেশ যাদব। তারপর তিনি সোজা দিল্লি চলে পারেন।
উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর দীর্ঘদিনের মধুর সম্পর্ক। সেই মুলায়ম সিংয়ের আমল থেকে মমতার খুব পছন্দের বিজেপি বিরোধী সপাকে। মুলায়মের উত্তরসূরি হিসেবে অখিলেশ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সপা সাংসদ। এমনকী উত্তরপ্রদেশে ভোটের সময় সপা প্রার্থীর হয়ে সেখানে প্রচারেও গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন বৈঠকে দেখা গিয়েছে, অখিলেশকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলছেন মমতা। তিনিও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়শই আলোচনা করেন অভিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাই সেই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে ও আরও মজবুত করতে তাঁর শহিদ দিবস উপলক্ষে ধর্মতলার সভায় আসা বলে অনেকের ধারণা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, সংসদের বাদল অধিবেশন। কারণ এই অধিবেশনেই ২৩ জুলাই পেশ হতে চলেছে বাজেট। ফলে সংসদের দুই কক্ষে বিরোধী জোটের ভূমিকা নিয়েও সভার ফাঁকে আলোচনা সেরে ফেলতে পারেন দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী। বিশেষত, এবারের অধিবেশন হতে চলেছে এমন একটা প্রেক্ষাপটে, যা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজ্যসভায় বিজেপি দুর্বল এবং লোকসভাতেও তার আগের শক্তি ক্ষয় হয়েছে। সে কারণে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরতে মরিয়া বিরোধীরা। তার উপর অখিলেশের কাছে হাতে গরম ইস্যু হচ্ছে কাঁওয়াড় যাত্রা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারের মুসলিম-বিরোধী ফতোয়া। সেইসব জাতীয় প্রসঙ্গও রবিবারের মঞ্চে তুলে ধরে বিজেপিকে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাতে পারেন মমতা-অখিলেশ।