সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
শেষ আপডেট: 7 May 2024 16:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন আদালতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা পরিকল্পিত জালিয়াতি। নিয়োগ প্রক্রিয়াই যদি কালিমালিপ্ত হয়, তাহলে গোটা ব্যবস্থায় আর অবশিষ্ট কী থাকে? মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে।”
মঙ্গলবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিমের কথায়, "আমরা সাধারণত আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলি না। কিন্তু এসব ডায়লগ দিয়ে কী লাভ? দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। সবচেয়ে দামি ল ইয়ার দিয়ে রায় কেনা হচ্ছে, হবে। এটা তো চলতে পারে না।"
সেলিম আরও বলেন, "যারা জেনে বুঝে বিষপান করেছে এবং করিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ভোটের মাঝে গোটা ক্যাবিনেটকে জেলে ভরলে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই আমরা চাইব, নির্বাচনের পর যেন গোটা ক্যাবিনেট জেলে যায়, আদালত সেই রায় দিক।"
দুর্নীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির প্রতিও আক্রমণ চড়িয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। সেলিম বলেন, "বিজেপির এ ব্যাপারে মুখ না খোলায় ভাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক দুর্নীতি শিখেছেন আরএসএস বিজেপির পাঠশালায়। দেশে সবচেয়ে বড় শিক্ষক দুর্নীতি হয়েছে মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ চহ্বানের আমলে। তদন্তকারী অফিসার,, অভিযোগকারী, সাক্ষ্মী মিলিয়ে ১০০ জন খুন হয়েছেন। তবু সিবিআই তদন্ত শেষ করেনি।"
সেলিমের অভিযোগ, রাজ্য সরকার চাকরিহারাদের নিয়ে চিন্তিত নয়। নিজের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। নিজে স্বস্তি পেতে চাইছে।
এদিন মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত যোগ্য ও অযোগ্যদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে। সেলিমের কথায়, "পরীক্ষায় ফেল করলে কেউ অযোগ্য হয়ে যায় না। বরং তাকে কীভাবে যোগ্য করা যায় ,সেটা দেখতে হবে। যারা কোনও পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছে তারা কাদের টাকা দিয়েছে, সেটা জানতে হবে।"