মহম্মদ সেলিম।
শেষ আপডেট: 5 May 2025 21:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত মাসে হিংসার ঘটনায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad incident) ধুলিয়ানে মৃত্যু হয়েছিল বাবা-ছেলের। ঘটনার পর প্রথম পরিবারের কাছে পৌঁছেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। নিহতদের শহিদের 'মর্যাদা' দিয়ে সে সময় সেলিম দাবি করেছিলেন, নিহত দু’জনকেই তাঁদের দলের সমর্থক।
অথচ রবিবার থেকে সল্টলেকে বিজেপির তত্ত্বাবধানে একটি গেস্ট হাউসে রয়েছেন হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের স্ত্রী। তাঁদের নিরাপত্তার সুরক্ষা চেয়ে এদিন বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ( Mamata Banerjee) সভায় জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ!
সিপিএমের সমর্থক পরিবারকে কি তাহলে বিজেপি 'হাইজ্যাক' করে নিল?
সোমবার সিপিএমের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি ওঠে। জবাবে সেলিম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীদের সংস্কৃতিই হল লাশ ছিনতাই করা। ওরা দাস পরিবারকে নিয়ে সেটাই করছে। সিপিএম এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না।"
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, হিংসা ঠেকাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত্যু হয় দলের দুই সমর্থকের। তবে বিজেপির দাবি ছিল, কাশ্মীরের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার কোনও ফারাক নেই। ওরা হিন্দু জেনেই খুন করা হয়েছিল।
সোমবার মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল সামশেরগঞ্জে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তার আগে যেভাবে দলের 'সমর্থক পরিবার'কে বিজেপি হাইজ্যাক করে নিল তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেও চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিএমের একাংশের মতে, 'অসহায় ওই পরিবারকে বিজেপি আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। ফলে পরিস্থিতির নিরিখে ওরা শিবির বদলাতে বাধ্য হয়েছেন।'
যদিও সেলিমের অভিযোগ, ধর্মের নামে বাংলায় ভেদাভেদ তৈরির খেলায় নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল এবং ওরা সেটাই করছে। যদিও সেলিমের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "নিজেরা ৩৪ বছর অসংখ্য গণহত্যা কাণ্ড ঘটিয়ে এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। তবে বাংলার মানুষ বিজেপি, সিপিএমের চরিত্র ভাল করে জানে। তাঁরা ওদের টোপে পা দেবেন না।"
এ ব্যাপারে বিজেপি বা শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।