শেষ আপডেট: 28th September 2024 18:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক শেষ হলেও মিলল না রফাসূত্র। দশ দফা দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলবে বলে সাফ জানালেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে কেন এমন ঘটনা ঘটল তা লিখিত দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের শো কজের দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো-সহ মোট দশ দফা দাবি এদিন কাউন্সিলের বৈঠকে পেশ করা হয়।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়া স্বাস্থ্য সচিব মেনে নিলেও লাভের লাভ হয়নি। উল্টে আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়েছেন, মুখের কথায় লাভ হবে না। দ্রুত দাবিদাওয়া না মেনে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে এক রোগীর মৃত্যু হলে আচমকা ২০-২৫ জন একসঙ্গে হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালায়। মারধর করা হয় মহিলা চিকিৎসক সহ বাকিদের। পাশাপাশি যথেচ্ছ ভাঙচুরও চালানো হয়েছে হাসপাতালে। গোটা ঘটনায় মোট ৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপরই নিরাপত্তার প্রশ্নে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সরব হন সাগর দত্ত হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা।
শনিবার বিকেলের দিকে সাগরদত্ত হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি। বৈঠক শেষের পর স্বাস্থ্য সচিবের পাশাপাশি ডিসি অনীশ সরকারকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি এবং কর্মরত পুলিশ কর্মীদের শো কজের দাবিতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, এই ঘটনা নতুন নয়। ২০২১ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সেবারও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে। শাসক দলের কাউন্সিলর বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে সদলবলে হামলা চালানো হয়।
তবে শুক্রবারের ঘটনা সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা নিয়েও এদিন উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁরা আর প্রতিশ্রুতিতে ভুলবেন না। পদক্ষেপ নেওয়ার পরই উঠবে কর্মবিরতি।
পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি বলে অভিযোগ।